পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তম খণ্ড.djvu/২১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

?कन { এই দানের পঞ্চ গুণ, যথা—১ জৈন সাধুকে নিজ গুহে উপস্থিত দেখিয়া উল্লাস, ২ ইষ্টবস্তুকে দেখিয়া যেমন মনে তৃপ্তি হয়, সেইরূপ সাধুর আগমনে পুলক, ৩ অতিথিসাধুকে দেখিয়া বহুসন্মান প্রদর্শন, ৪ মুনিবন্দনী ও অমুমোদন এবং ৫ বছদান দিবার উপযুক্ত পনরক্ষণ । অতিথিসংবিভাগের ও ৫ অতিচার, যথা—১ সচিত্তনিক্ষেপ অর্থাৎ আহারের সময় আয়োজন না করিয়া দিলে সাধু খাইবে, কিন্তু নিমন্ত্রণ করিয়৷ খাওয়াইলে আমার অতিথিসংশিভাগ ব্রত পালন হইবে এরূপ অতিচার ; ২ সচিত্তপীহণ অর্থাৎ যাহা দিলে সাধু গ্ৰহণ করিবে না, এরূপ দান ; ৩ কালতিক্রম অর্থাৎ সাধু যে সময়ে আহার করেন, সেই সময়ে না দিয়া অন্য সময়ে দান ; ৪ পরব্যপদেশমৎখর অর্থাৎ সাধু চাহিলে দ্রব্য নিকটে থাকিলেও ক্রোধপূর্বক না দেওয়া কিংবা একাঙ্গালকে অামি এত দিয়াছি এরূপ মনোভাব ও ৫ গুড়খণ্ডাদি না দিবার ইচ্ছায় অন্ত কথা বলা • । শ্রাবকাচার –জৈন গৃহস্থবর্গের কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্মাদিয় নাম শ্রাবকাচার । শ্রাবককৌমুদী, দিনকৃত্যবিধি, আচারদিনকর, আচাররত্নাকর, শ্রাদ্ধবিধি প্রভৃতি শ্রেতাশ্বর সম্প্রদায়ের পাল্যগ্রন্থ হইতে সংক্ষেপে শ্রাবকাচর লিথিত হইতেছে । দিনকতা—ব্রাহ্ম্য মুহূর্তে শয্যা ত্যাগ, গাত্রোথানপূৰ্ব্বক চতুৰ্দ্দশ নিয়ম ধারণ, দস্তুধাবন, মলমুত্রাদি ত্যাগ, জিম্বোল্লেখন, স্নান । তত্ত্বজ্ঞ শ্রীবকের তত্ত্ববিচার, পঞ্চ মঙ্গল মন্ত্রস্মরণ, তিন বার জিনপুজা, জিনদর্শন, সম্পূর্ণ দেববন্দন, চৈত্যবন্দন, লঘুবন্দন ( গুরু উপস্থিত না থাকিলে ধৰ্ম্মাচার্যোর নাম লইল বন্দনা ), চাতুর্মান্তকালে পঞ্চপর্বের দিন অঃপ্রকার পুজা, নবান্নাদি দেবকে নিবেদন করিয়া পরে ভোজন, নিত্য নৈবেদ্যদাম ; চতুৰ্ম্মান্ত, দীবাণী ও সংবৎসরীতে অষ্টমঙ্গল, দেবগুরুকে খাওয়াইয়া পরে আহার, জিনমন্দির, ধৰ্ম্মশালা ও পোষধশালাপ্রমার্জন, পোষধশালায় মুখবন্ত্রিকা প্রয়োগ, দুষণরহিত অহার। বিবেকবিলাসের মতে-সন্ধ্যাপুজাদি করিবার পূৰ্ব্বে মল ও মুত্রত্যাগ, দস্তধাবন ও স্নান করিয়া পবিত্র হওয়া উচিত (৬২) । প্রজ্ঞাপনাস্থত্রের মতে- পুরীষ, মুত্র, নিষ্ঠীবন, নাসিকমল, বমন, পিত্ত, বীর্গারুধির, রাধ, বীৰ্য্যের পুদগল, জীবরহিত কলেবর, স্ত্রীপুরুষের সংযোগ ও নগরের মোড় এই ১৪ স্থানে • १**९०क ११ ७ टtsीब्र वृद्धि a२२ रेलन (शाअनttश नबाङ्tस्त्र दिसूफ दियङ्ग* वtáए जाँtझ । (৬২) “মূত্রোৎসর্গং মলোৎসর্গং মৈথুনং স্নানভোজনে। সন্ধ্যাদিকৰ্ম্মপূজাচ কুৰ্য্যাহ্মন্নং চ মৌনবান।” २०४' ] ?ञ्जिन সংমুচ্ছ জীব উৎপন্ন হয়, এই জন্ত ঐ সকল স্থানে মলমূত্রাদি ত্যাগ করিবে না । দস্তুধাবন ।--জৈনশাস্ত্রমতে, ব্যতীপান্ত, রবিবার, সংক্রাস্তি, নবমী, অষ্টমী, চতুর্দশী, পূর্ণিমা ও অমাবস্ত এই সকল দিনে, এ ছাড়া কাস, শ্বাস, কফ, অজীর্ণ, শোক, তৃষাৰ্ত্ত, মুখ, শির, নেত্র, হৃদয় ও কর্ণরোগযুক্ত ব্যক্তি দস্তুধাবন করিবে না । স্নান - উচ্চ নিম্ন ও জীবযুক্ত স্থানে স্নান নিষেধ। সমতল স্থানে স্নান কৰ্ত্তব্য । স্নান করিবার সময় উষ্ণ জল ব্যবহার করিবে, উষ্ণ না মিলিলে কাপড়ে ছাকা শীতল জলে স্বান কৱিবে । ব্যবহারশাস্ত্রের মতে—নগ্ন রোগী, পরদেশ হইতে আসিয়া ভোজন ও মঙ্গলাকার্য্যাদির পর হুগুপ্ৰবেশ ও অপরিষ্কার জলে স্নান কবিবে না । স্নান করিতে হইলে সৰ্ব্বদাই তৈলমর্দন চাই। জৈনশাস্ত্র মতেও স্নান করিয়া তবে পুজা করিবে । পুজাতিন প্রকার। যথা—অঙ্গপূজা, অগ্রপূজা ও ভাবপূজা। অঙ্গপূজা-নিৰ্ম্মাল্যদূরীকরণ, মার্জন, অঙ্গপ্রক্ষালন, কুসুমাঞ্জলিমোচন, পঞ্চামৃতস্নান, চন্দনাদি বিলেপন, পুষ্পাদির আভরণ দ্বারা ভূষা, মালামুকুটাদিরচনা, জিনপ্রতিমাগঠন, ইত্যাদির নাম অঙ্গপূজা। অগ্রপূজা-দেবোদেশে গীত, নৃত্য, বাঙ্ক, লবণ, জল, নৈবেদ্য, আরতি প্রভৃতির নাম অগ্রপূজ’ (৬৩) । ভাবপূজা –শক্রস্তব, চৈত্যস্তব, নামস্তব, শ্ৰুতস্তব ও সিদ্ধস্তবাদি চৈত্যৰন্দন ও অগ্রপূজার গীতন্থত্যাদি ভাবপুজায় হইয়1 থাকে । সকল প্রকার পুজাই ঐ তিন পূজার অন্তর্ভাব বলিয় গণ্য। পুজক পুৰ্ব্বমুখে স্নান, পশ্চিমমুখে দস্তুধাবন, উত্তরমুখে শ্বেতবস্ত্র পরিধান, শল্যরহিত স্থানে দেহ স্থাপন এবং পুৰ্ব্বোত্তরমুখী হইয়া পূজা করিবে। শ্বেতাম্বর জৈনদিগের শাস্ত্রে লিখিত আছে—পশ্চিমে সস্তানোচ্ছেদ, দক্ষিণে সস্তানহীন, অগ্নিকোণে ধনহীন ও ঈশানকোণে মুখ করিয়া পুজ। করিলে ভূমিহীন হয়। অঙ্গন্তাস, চন্দন, শির, কণ্ঠ ও হৃদয়ে তিলকধারণ ব্যতীত পুজা সিদ্ধ নহে। প্রাতে বাসপূজা, মধ্যাহে ফুলপুঞ্জ এবং সন্ধ্যায় ধূপ দীপ দিয়া পূজা করিবে । শাস্তিকার্য্যে শ্বেতবস্ত্র, দ্রব্যলাভের আশায় পীতবস্ত্র, শত্ৰুজয়ার্থ কৃষ্ণবস্ত্র, মাঙ্গলিক কার্য্যে রক্তবস্ত্র এবং মুক্তিলাভের জন্ত পূজা করিতে হইলে পঞ্চবর্ণের বস্ত্র পরিধান করিবে। (৬৩) “গন্ধৰ্ব্ব নষ্ট বাইয় লবণ জলারক্তি আইনীবাই। জং কিচ্চং সকংপিউ অরঙ্গ অগপূজাএ ॥”