পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তম খণ্ড.djvu/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাতি কৰ্শ্বের সর্বতোভাবে অনুকরণ করিত ; এইরূপে এক এক ংশ বহুপুরুষ ধরিয়া একপ্রকার কৰ্ম্ম ও গুণশালী হইয়া একটা পৃথক জাতি বলিয়া গণ্য হইল। এইরূপে চাতুবর্ণোয় উৎপত্তি হইয়াছে। কিন্তু পরবর্তিকালে বৈদেশিক আক্রমণ এবং প্রকৃত গুণকৰ্ম্ম অভাবেও নীচজাতির উচ্চবংশীয় বলিয়া পরিচয় প্রদানেও সমাজে বিশৃঙ্খল উপস্থিত হয়, সেই সময় হইতে ভারতে জাতি ধৰ্ম্মের বৈলক্ষণ্য দৃষ্ট হয়। এই জন্তই এখন চাতুবর্ণের মধ্যে পূৰ্ব্বকালের শাস্ত্রনির্দিষ্ট আচার ব্যবহারের অনেক পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় । [ কোঙ্কণস্থ ও পুষ্কর ব্রাহ্মণ এবং পঞ্চালর শব্দ দ্রষ্টব্য । ] ভগবান মমুর মতে— ū "ব্রাহ্মণ: ক্ষত্রিয়ো বৈশুন্ত্রয়ো বৃর্ণ দ্বিজাতয় । চতুর্থ এক জাতিস্ত শূদ্রাঃ নাস্তিতু পঞ্চম ॥” (১•'s) ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশু ও শূদ্র এই চারি বর্ণ বা জাতি, এ ছাড়া পঞ্চম জাতি নাই। ময়টাকাকার কুলকভট্ট লিথিয়াছেন—“পঞ্চমঃ পুনৰ্বর্ণো নাস্তি সংকীর্ণজাতীনাং ত্বশ্বতরবৎ মাতপিতৃজাতিব্যতিরিক্ত-জাত্যন্তর স্বায় বর্ণত্বম্।” পঞ্চমবৰ্ণ আর নাই । সংকীর্ণ অর্থাৎ দুই ভিন্ন বর্ণের মিশ্রণে উৎপন্ন জাতিকে অশ্বতরাদির স্থায় মাতা পিতা ছাড়া অন্ত জাতিত্ব প্রযুক্ত তাহাকে বর্ণ মধ্যে গণ্য করা যায় না। মন্ত্রর মতে—( ১০২০ ) “দ্বিজাতয়ঃ সবর্ণাঙ্ক জনয়ন্ত্যব্রতাংস্ত যান। তান সাবিত্রীপরিভ্রষ্টান ব্রাত্য ইতি বিনির্দিশেং সবর্ণ স্ত্রীতে উৎপন্ন দ্বিজাতিগণ নিয়মাদিহীন ও গায়িত্রী পরিভ্রষ্ট হইলে তাহাকে ব্রাত্য বলে। শক, কম্বোজাদি পতিত ক্ষত্রিয়কে ব্রাত্য বলা যায় । [ ব্রাত্য শব্দে বিস্তৃত বিবরণ দেখ। ] আবার মন্তু প্রকাশ করিয়াছেন— "মুখবাহরূপজানাং যালোকে জাতয়োবহিঃ। ম্লেচ্ছবাচক্ষাৰ্য্যবাচঃ সৰ্ব্বে তেদস্তব স্থতা: ॥” (১৯৪৫) ব্রাহ্মণাদি বর্ণ চতুষ্টয়ের মধ্যে ক্রিয়ালোপাদি কারণে যাহার বাহজাতি বলিয়া গণ্য হয়, সাধুভাষীই হউক, আর মেচ্ছভাষীই হউক, তাহারা সকলেই দম্য নামে গণ্য। মম্বাদি স্মৃতিকারগণের মতে উচ্চবর্ণের পিতা ও নীচ বর্ণের মাত হইতে যে সন্তান জন্মে, তাহাকে অমুলোম এবং নীচবর্ণের পিতা এবং উচ্চ বর্ণের মাতা হইতে যে পুত্র জন্মে তাহাকে প্রতিলোম বর্ণ সঙ্কর বলে, অমুলোম অপেক্ষ প্রতিলোম অতি হেয় বলিয়া গণ্য। ভগবা ময়ুর মতে অমুলোমभ१ भाङ्ग्रगित्रु श्डे दनिग्न भाङ्बाडिब्र गरछात्रप्शश्न रङ्ग। थूज হইতে প্রতিলোমক্রমে সমুৎপন্ন আয়োগব, ক্ষত্ত, চণ্ডাল এই [ २० J छांडि তিন জাতির ঔদ্ধদেহিকাদি কোন প্রকার পিতৃকার্ধ্যে অধিকার নাই। এজন্য ইহারা নরাধম বলিয়া গণ্য। ব্রাত্যগণ প্রতিলোমঞ্জ পুত্রের স্থায় ঔদ্ধদৈহিকাদি পিতৃকার্ঘ্যে অধিকারী হয় না। আশ্বলায়ন স্থতি প্রভৃতি গ্রন্থে অঙ্কুলোমজ ও প্রতিলোমজ অনেক প্রকার জাতির উল্লেখ আছে। সেই সকল সঙ্কর জাতি হইতে আবার ভারতবর্ষে অসংখ্য প্রকার জাতির আবির্ভাব হইয়াছে । [ সঙ্কর ও ভারতবর্ষ শব্দে সেই সেই জাতির নাম এবং সেই সেই শব্দে তাহদের উৎপত্তি ও আচারব্যবহারাদি झछेदJ। ] পাশ্চাত্য মানবতত্ত্ববিদগণ বর্তমান ভারতবাসীদিগকে আৰ্য, দ্রাবিড় ও মোঙ্গলীয় এই তিন প্রধান বর্ণে ধিভক্ত করেন। র্তাহীদের মতে বৈদিককালে ভারতে আর্য ও অনার্য্য এই দুই জাতির বাস ছিল। আর্যগণ ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ও বৈশু এই তিন বর্ণ এবং অনাৰ্য্য বা কৃষ্ণবর্ণ আদিম অধিবাসীগণ শূদ্র আখ্যা প্রাপ্ত হয়। কিন্তু আমাদের বিবেচনায় এ যুক্তি সমীচীন বলিয়া বোধ হইল না। আর্য্যগণ আর্য্যাবর্ত অধিকার করিলে অনেক আদিম অধিবাসী তাহদের সহিত মিলিত হইয়াছিল। তাহারাও কৰ্ম্মানুসারে চাতুবর্ণ মধ্যে গণ্য হইয়াছিল, তাহাতে সন্দেহ নাই। কিন্তু যে সকল কৃঞ্চবর্ণ আদিমজাতি আৰ্য্যগণের বিরোধী হইয়াছিল। তাহারা সকলেই শূদ্র বলিয়া গণ্য হয়। [ বর্ণ শব্দে বিস্তৃত বিবরণ দ্রষ্টব্য। ] এইরূপ আর্য্য হইতেও অনেক অনাৰ্য্যজাতির উৎপত্তির কথা শুনিতে পাই। ঋগ্বেদের ঐতরেয়ন্ত্রাহ্মণে (৭।১৮) লিখিত আছে—“তস্ত হ বিশ্বামিত্রস্তৈকশতং পুত্রা আস্থঃ পঞ্চাশদেব জ্যায়াংসে মধুচ্ছন্মষঃ পঞ্চাশং কনীয়াংসঃ তদুযে জ্যায়াংসো ন তে কুশলং মেনিরে। তানন্থ ব্যজহারাস্তান বঃ প্রজা ভক্ষীষ্টেতি ত এতেক্কা পুণ্ড, শবরা পুলিন মুতিব ইত্যুদস্ত্য বহবো उदद्धि दिशभिजा अशनां९ छूग्निर्छाः ।” - সেই বিশ্বামিত্রের একশত পুত্র ছিল, তন্মধ্যে পঞ্চাশজন মধুচ্ছদ অপেক্ষ বয়সে জ্যেষ্ঠ এবং পঞ্চাশজন তাহ অপেক্ষা ছোট। জ্যেষ্ঠ পুত্রগণ তাহাতে (গুনঃশেপের অভিষেকে) ভাল বোধ করিল না । তখন বিশ্বামিত্র তাহাদিগকে অভিশাপ দিলেন, “তোদের বংশধরেরা সকলেই নীচ জাতি হইৰে ” তজন্ত বিশ্বামিত্রবংশীয় অন্ধু, পুং, শবর, পুলিন ও মৃতিৰগণ ভ্রষ্ট ও বিশ্বামিত্রের পুত্ৰগণ দম্য ভূমিষ্ঠ বলিয়া গণ্য। শবর প্রভৃতিকে পাশ্চাত্যগণ দ্রাবিড় শাখাসস্থত অনার্য্য জাতি বলিয়া স্থির করিয়াছেন, কিন্তু ইহার আর্যজাতি হই cड३ ऊँडूङ श्ब्राप्इ । ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিা, বৈত ও পুত্র প্রভৃতি শকে অপরাপর বিবরণ দ্রষ্টব্য। ] ' t