পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তম খণ্ড.djvu/২৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞান হইয়া আত্মাতে প্রতিবিম্বিত হইলে জ্ঞান হয়। একটা বস্ততে চক্ষুঃসংযোগ হইল, তখন দর্শনেস্ক্রিয় (চক্ষু:) আলোচনা করিয়া মনকেষট্রল, মন সঙ্কল্প করিয়া অহঙ্কারকে দিল, অহঙ্কার অভিমান করিয়া বুদ্ধিকে দিল, বুদ্ধি অধ্যবসায় করিয়া (অর্থাৎ তদাকারে পরিণত হইয়া ) প্রতিবিম্বরূপে আত্মার নিকট উপস্থিত হইল, তখন আত্মার প্রতিবিম্বরূপে জ্ঞান হইল । “যুগপচ্চতুষ্টয়ন্ত তু বৃত্তি: ক্রমশশ্চ তন্ত নির্দিষ্ট।” ( তত্ত্বকৌমুদী ৩০ ) ইঞ্জিয়ের আলোচন, মনের সঙ্কল্প, অহঙ্কারের অভিমান, বুদ্ধির অধ্যবসায় এই চারিট যুগপৎ হইয়া থাকে। ( সাংখ্যদর্শন ) ক্ষেত্র ও ক্ষেত্রজ্ঞের স্বরূপ জানাকে প্রকৃত জ্ঞান বলা যায়। এই জ্ঞান হইলে মনুষ্য সকল প্রকার দুঃখ হইতে উত্তীর্ণ হইতে পারে । গীতায় জ্ঞানের বিষয় এই প্রকার লিখিত আছে। অমানিত, অদম্ভত, অহিংসা, ক্ষমা, সারল্য, আচার্য্যোপাসনা, শৌচ, স্থৈৰ্য্য, ইন্দ্রিয়নিগ্রহ, মনোনিগ্ৰহ, ভোগবৈরাগ্য, অনহঙ্কার, এই সংসারেতে জন্ম, মৃত্যু, জরা, ব্যাধি, দুঃখাদি দোষদর্শন করা, পুল, দারা, গৃহাদি বিষয়ে অনাসক্তি, অনভিস্বঙ্গ, ইষ্ট কিংবা অনিষ্ট ঘটনা উপস্থিত হইলে তাহাতে সৰ্ব্বদ। সমজ্ঞান, জীবাত্মাকে অভিন্নভাবে দর্শন করিয়া আত্মাতে ( ঈশ্বরেতে ) অচলাভক্তি, নির্জনদেশ সেবা, জনতায় বিরক্তি, নিত্য অধ্যযুজ্ঞানসেবা, নিত্যানিত্য বস্তুবিবেক, জীবাত্মা পরমাত্মায় অভেদজ্ঞান এই সমস্তই জ্ঞান, আর যাহা ইহার বিপরীত তাহার নাম অজ্ঞান । ( গীত ১৩ অঃ ৬-১৩ ) এই জ্ঞান তিন প্রকার---সাত্ত্বিক, রাজসিক ও তামসিক । “সৰ্ব্বভূতেষু যৈনৈকং ভাবমব্যয়মীক্ষতে। অবিভক্তং বিভক্তেষু তজজ্ঞানং বিদ্ধি সাত্বিকম্।” ( গীতা ১৮২• ) যে জ্ঞান দ্বারা বিভিন্নাকারে প্রতীয়মান নিখিল জগতের কেবলমাত্র এক অদ্বিতীয় অবিভক্ত ও অপরিবর্তনীয় সত্ত্ব বা চিৎস্বরূপ আত্মাই পরিতৃপ্ত হয়েন, আর কোন পদার্থই দেখিতে পাওয়া যায় না, সেই জ্ঞানই সাত্ত্বিকস্তান । এই জ্ঞান হইলেই মুক্তি হয়। “পৃথকৃত্বেন তু যজজ্ঞানং নানাভাবৎ পৃথগ্বিধান। বেত্তি সৰ্ব্বেষু ভূতেষু তজজ্ঞানং বিদ্ধি রাজসং ।” (গীত। ১৮২১) যে জ্ঞানের দ্বারা প্রতিদেহে বিভিন্ন গুণ ও বিভিন্ন ধৰ্ম্মবিশিষ্ট পৃথক পৃথকু ভাবে আত্মা দৃষ্ট হইয়া থাকে, তাহাকে রাজসজ্ঞান বলা যায় । t WII や> [ २8s' ] खांम এই রাজসিক জ্ঞান থাকিতে মুক্তি হইতে পারে না এবং ইহা অসম্যক্ জ্ঞান। "যন্ত কমবদেকস্মিন কাৰ্য্যে সব্রুমহেতুকম্। অতত্ত্বার্থবদল্লঞ্চ তৎ তামসমুদাহৃতম্ ॥” ( গীত। ১৮২২ ) যে জ্ঞান বহুল দেহকেই লক্ষ্য করে, আত্মা ইঞ্জিয় ও মন প্রভৃতি যাহা কিছু অদৃশু পদার্থ আছে, তৎসমস্তকেই দেহ বা দৈহিক বস্তু বলিয়া দেখে, যে জ্ঞানের কোন প্রকার হেতু বা যুক্তি নাই, এবং যাহা তত্ত্বার্থের প্রকাশক নহে, যাহা অতীব ক্ষুদ্র অর্থাৎ কোন বিষয়ের অভ্যন্তরপ্রদেশ পর্য্যন্ত প্রকাশ করিতে পারে , কিন্তু কেবল বাহিরের কিয়দংশমাত্র প্রকাশ করিয়া থাকে, তাহাকে তামসজ্ঞান বলা যায়। পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণ বলেন, মানবের মন জ্ঞান, চিন্তা ও বাসনাময়। কখন আমরা কোন বিষয়ে জ্ঞান লাভ করি, কোন সময়ে মানসিক বৃত্তিবিশেষ দ্বারা পরিচালিত হই, আবার কোন সময় কোন বস্তু বা বিষয় অভিলাষ করি । কিন্তু মনের এই তিনটা প্রক্রিয়া বিভিন্ন হইলেও পরম্পর সম্বদ্ধ। যে বিষয় আমরা জানি না, তাহ আমরা অভিলাষ করিতে পারি না, কিংবা তৎসম্বন্ধে আমরা কোনরূপ চিন্তা করিতে পারি না। আবার যে বিষয়ে আমরা কোনরূপ চিন্তা না করি, সে বিষয়ে আমাদিগের জ্ঞানলাভও হয় না । ইচ্ছা ন হইলে কোন বিষয়ে আমরা চিন্তাও করি না বা কোন বিষয়ে আমরা জ্ঞানলাভও করিতে পারি না । স্থূলতঃ এই তিন প্রক্রিয়ার সমন্বয় দ্বারা আমরা জ্ঞানলাভ করি। ইহাদিগের মধ্যে একটা বৈজিক অভিব্যক্তি আছে। জ্ঞানলাভের প্রথম ক্রিয়া—কোন বস্তু দেখিলে বা তাহার বিষয় চিন্তা করিলে ইন্দ্রিয়ের প্রক্রিয়া হেতু আমাদিগের মানসিক ভাবান্তর উপস্থিত হয়। ইন্দ্রিয়ের প্রক্রিয়া হেতু যে, বিবিধ অমুমিতি উপস্থিত হয়, তাহার কতকগুলি বিসদৃশ । পূৰ্ব্বে আমরা কোন বস্তু বা ব্যক্তি সম্বন্ধে যে জ্ঞান লাভ করিয়াছি, সেই বস্তু বা ব্যক্তির সহিত যদি বর্তমানের সামঞ্জস্ত দেখি, তাহা হইলেই এ দুইই যে এক, তাহা আমরা বুঝিতে পারি । একের সহিত যদি অন্তের মিল না থাকে, তাহা হইলে দুইট ভিন্ন বলিয়া আমরা গণ্য করি। এক ধৰ্ম্মবিশিষ্ট ইন্দ্রিয়ের বোধগুলি একরূপ ওতপ্রোতভাবে সম্মিলিত হয় । সামান্ততঃ মানসিক সংযোগ ও বিয়োগ প্রক্রিয়া দ্বারা আমরা জ্ঞানলাভ করি। কিন্তু কেবলমাত্র সংযোগ ও दिtग्नां* @क्लिग्नां श्रथदां श्रां८झंथन ७ दि८झंझ१ वांद्रां छांनलांख्ठ হয় না। প্রকৃত জ্ঞানলাভের জন্ত স্মৃতি বা ধারণাশক্তির আবশুক। স্মৃতিশক্তি দ্বারা আমাদিগের পূর্বসংস্কার মনো