পাতা:বিশ্বকোষ সপ্তম খণ্ড.djvu/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জালন্ধর জলিকি (পুং) জাযুদ্ধজীবিভেদ, শস্ত্রব্যবসায়িবিশেষ। “ক্রোষ্ট্রফিালমালিক বন্ধগুপ্তোংখ লালকি; " (লি কেী) জালকিনী, স্ত্রী) জালক লোমসমূহস্তদস্তি অপ্তা: ইনি (জত ইনি ঠনেী। পা ৫২,১১৫ ) ততো উীপ । মেৰী, ভেড়ী । জলকীট (পুং) জালে পতিতঃ কীটােংস্ত । ১ মৰ্কট, লুত, মাকড়সা । ২ মাকড়সার জালে পতিত মশকাদি কীটবিশেষ । জালকীয় (পুং ) জালকি স্বার্থে ছ। জালকি, শস্ত্রব্যবসায়ী • জালক্ষীৰ্য্য (ক্লী) জালে জালকে ক্ষীরং তত্ৰ সাধু যৎ । ক্ষীরবিষবৃক্ষ ভেদ । “কুমুদী জুই জলক্ষীর্ধ্যাণি ঐশি ক্ষীরবিষাদি ” - ( সুশ্রুত কল্প" ২ অঃ ) জালগৰ্দভ (পুং ) রোগবিশেষ, ক্ষতথা প্রভৃতি। “বিসর্পবৎ সপতি যঃ শোখস্তমুরপাকবান । দাহজরকরঃ পিত্তাৎস জ্ঞেয়ো জালগঙ্গভঃ ” { ক্ষুদ্ররোগ দেখ। ] জালগোণিকা (স্ত্রী) জালবৎ গোণা ছিন্নবস্ত্রেণ কাল্পতি কৈ-ক ততো হ্রস্বঃ । দধিমন্থনের ভাণ্ডবিশেষ, পৰ্য্যায় কগুলো । (শকার) জালজীবিন(ত্রি) জালেন জীবিভূং শীলমন্ত জাল-জীব পিনি। ধীবর, জেলে । জালধক ( জলধাক্কা ) উত্তর বঙ্গের একটা নদী। এই নদী ভূটানে উৎপন্ন হইয়া ভূটান রাজা ও দার্জিলিঙ্গ জেলার সীমান্ত প্রদেশ দিয়া প্রবাহিত হইতে হইতে জল্পাইগুড়ী প্রবেশ করিয়াছে। তথা হইতে পূৰ্ব্বমুখে কোচবেহারের মধ্য দিয়া ধরলা নদীর সহিত সংযুক্ত হইয়াছে। এই নদীর গোড়া হইতে কতকদুর ডি-চু ও শেষভাগ সিঙ্গীমারী নামে অভিহিত । উপনদী পরালং-চু, রং-চু ও মাচু দাৰ্জিলিঙ্গে ; মূৰ্ত্তি ও দীন জল্পাইগুড়ীতে এবং মুজনাই, সতঙ্গ, দুৰ্ছয়া, দোলঙ্গ ও দালখোয়া কোচবেহারে প্রবুস্থিত। এই নদী অতি প্রশস্ত, কিন্তু অগভীর । জলিন্ধর, শতদ্রু ও চন্দ্রভাগা নদীর মধ্যবর্তী দোয়াবের উদ্ধাংশ। পূৰ্ব্বকালে এই প্রদেশের নাম ত্ৰিগৰ্ত্ত ছিল। এ প্রদেশের প্রধান সহর জলন্ধর । কোটকাঙ্গড় ( অথবা নাগর কোট) নামক স্থানে একটা দৃঢ় দুর্গ ছিল, বিপদকালে জালন্ধরের অধিবাসিগণ সেস্থলে আশ্রয় গ্রহণ করিত । পদ্মপুরাণে জালন্ধরের উৎপত্তিসম্বন্ধে একটী সুন্দর গল্প আছে—এক সময়ে সাগরের ঔরসে গঙ্গার গর্ভে জলন্ধর নামক এক দানবের জন্ম হয়। তাহার জন্মমাত্র পৃথিবীদেবী কঁাদিয়া উঠিলেন। স্বৰ্গ মর্ত্য ও রসাতল প্রকম্পিত ও প্রতিধ্বনিত হইতে লাগিল। ব্ৰহ্মার ধ্যানভঙ্গ হইল। ব্ৰহ্মা ত্রিলোকের বিপংপুত দর্শনে भडि*ग्र उँौड रुहेब्रा इशन আরোহণপূৰ্ব্বক VII § 8 छांलक्वग्न সাগল্পের সম্মুখে উপস্থিত হইলেন। ठिनि जभूज़द्वक जिलांनी করিলেন, ‘হে সাগর ! তুমি কেন বৃথা এরূপ গভীর ও ভয়ঙ্কর গর্জন কুরিতেছ। সাগর উত্তর করিল, “হে দেবাদিদেৰ ! এ আমার গর্জন নয় ; আমার পুত্রের গর্জনে এরূপ শব্দ উৎপন্ন হইতেছে। ব্রহ্ম সাগরপুত্রকে দেখিয়া অতিশয় বিস্মিত হইলেন। সাগরপুত্র ব্ৰহ্মাকে দেখিবামাত্র জোরে তাহার नांफ़ि थब्रिग्राँ फेॉनिण । उका किहूएउहे उांशंद्र शठ झांफ़ांहेtङ পারিলেন না। তখন সাগর হাসিতে হাসিতে অগ্রসর হইয়। পুত্রের হাত ছাড়াইয়া দিল। ব্রহ্মা সাগরশিশুর পরাক্রমে অতিশয় সন্তুষ্ট হইয়া বলিলেন, এই শিগু আমাকে অতিশয় দৃঢ়ভাবে আকর্ষণ করিয়াছিল, এই জন্য জগতে জলন্ধর নামে খ্যাত হইৰে7 ব্ৰহ্মা তাহাকে আরও এই বর প্রদান করিলেন যে, এই বালক দেবগণেরও অজেয় হইবে এবং আমার অনুগ্রহে ত্রিলোকের প্রভু হইবে। সেই শিশু বয়ঃপ্রাপ্ত হইলে একদিন দৈত্যগুরু শুক্র সাগর সমীপে উপস্থিত হইয়া বলিলেন, “হে সাগর, তোমার পুত্র ভুজবলে ত্রিলোকের রাজা হইবে, অতএব তুমি পুণ্যাত্মাদিগের আবাসস্থল জম্বু দ্বীপ হইতে কিছু দূরে সরিয়া যাও এবং তোমার পুত্রের বাসোপযোগী কিছু স্থান দিয়া সেই স্থানে তোমার পুত্রকে একটী ক্ষুদ্র রাজ্য প্রদান কর ।” দৈত্যগুরু শুক্র এই কথা বলিলে সাগর ৩• • যোজন পথ সরিয়া গেল। সেই জলনিমুক্ত স্থান পরে জলন্ধর নামে খ্যাত হইয়াছে । ( পদ্মপুরাণ উত্তর” ) উক্ত আখ্যানটী কাল্পনিক বলিয়৷ একেবারে পরিত্যজ্য নহে, ইহার সহিত একটী প্রাকৃতিক পরিবর্তনের সম্বন্ধ আছে । জালন্ধরপ্রদেশ গঙ্গা ও সিন্ধুনদের উপত্যকপ্রদেশান্তর্গত ; পূৰ্ব্বে উক্ত প্রদেশ সম্পূর্ণরূপে সমুদ্রের মধ্যে ছিল, পরে সমুদ্র সরিয়া যাওয়ায় মানুষের আবাসভূমি হইয়াছে। জলন্ধর দানবের মৃত্যুবৃত্তান্ত অতিশয় শোচনীয়। জলন্ধরের এইরূপ বর ছিল, যতদিন তাহার স্ত্রী বৃন্দার চরিত্র নিষ্কলঙ্ক থাকিবে, ততদিন তাহীকে কেছ পরাজয় করিতে পরিবে না। কিন্তু বিষ্ণু জলন্ধরের রূপ ধারণ করিয়া বৃন্দাকে বঞ্চনা করেন । এই হেতু পরে শিব জলন্ধরকে পরাজয় করিয়াছিলেন । আশ্চর্য্যের বিষয় এই, পরস্পর যুদ্ধকালে শিব যতবার জলন্ধরের মস্তক ছেদন করিতে লাগিলেন, ততবারই আবার তাহার মাথা জোড়া লাগিতে লাগিল । পরিশেষে শিব আর অন্ত উপায় না দেখিয়া কাটা মুণ্ড মাটিতে পুতিয়া ফেলিলেন । দানবের শরীর এত প্রকাও ছিল যে, তাহাকে কবরিত করিতে ৩২ ক্রোশ পরিমিত স্থান আবখ্যক হইয়াছিল। সেই জন্তই