পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*の বিশ্ব-পরিচয় সামান্য কিছু অক্সিজেন ছিল সেই অাদিকালের উদ্ভিদের রূপে । এই উদ্ভিদের পালা যতই বেড়ে চলল ততই তাদের নিশ্বাসে অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়িয়ে তুললে । কমে গেল আঙ্গরিক গ্যাস । অতএব সম্ভবত শুক্রগ্রহের অবস্থা সেই অাদিকালের পৃথিবীর মতো। একদিন হয়তো কোনো ফাকে উদ্ভিদ দেখা দেবে, আর আঙ্গারিক গ্যাস থেকে অক্সিজেনকে ছাড়া দিতে থাকবে । তার পরে বহু দীর্ঘকালে ক্রমশ জীবজন্তুর পালা হবে শুরু । চাদ আর বুধগ্রহের অবস্থা ঠিক এর উলটে। সেখানে জীবপালনযোগ্য হাওয়া টানের তুর্বলতাবশত দেখতে দেখতে শেষ হয়ে গিয়েছিল । সৌরমণ্ডলীতে শুক্রগ্রহের পরের আসনটা পৃথিবীর । অন্তগ্রহদের কথা শেষ ক’রে তারপরে পুথিবীর খবর নেওয়া যাবে । পৃথিবীর পরের পংক্তিতেই মঙ্গল গ্রহের স্থান । এই লালচে রঙের গ্রহটিই অন্য গ্রহদের চেয়ে পুথিবীর সব চেয়ে কাছে । এর আয়তন পুথিবীর প্রায় নয় ভাগের এক ভাগ । সূর্যের চারদিকে একবার ঘুরে আসতে এর লাগে ৬৮৭ দিন । যে পথে এ সূর্যের প্রদক্ষিণ করছে তা অনেকটা ডিমের মতো ; তাই ঘোরার সময় একবার সে আসে সূর্যের কাছে আবার যায় দূরে । আপন মেরুদণ্ডের চারদিকে এ গ্রহের ঘুরতে লাগে পৃথিবীর চেয়ে আধ ঘণ্টা মাত্র বেশি, তাই সেখানকার দিনরাত্রি আমাদের পুথিবীর দিন রাত্রির চেয়ে একটু বড়ো ।