পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্ৰহলোক b9 م( একপাক শেষ করতে লাগে ত্রিশ ঘণ্টা, আর-একটির সাড়ে সাত ঘণ্টা, অর্থাৎ মঙ্গলগ্রহের একদিনরাত্রির মধ্যে সে তাকে ঘুরে আসে প্রায় তিনবার। আমাদের চাদের চেয়ে এর প্রদক্ষিণের কাজ সেরে নেয় অনেক শীঘ্ৰ । মঙ্গল আর বৃহস্পতিগ্রহের কক্ষপথের মাঝখানে অনেকখানি ফাক জায়গা দেখে পণ্ডিতেরা সন্দেহ ক’রে খোজ করতে লেগে গেলেন । প্রথমে অতি ছোটো চারিটি গ্রহ দেখা দিল । তারপরে দেখা গেল ওখানে বহু হাজার টুকরো গ্রহের ভিড়। ঝণকে ঝণকে তারা ঘুরছে সূর্যের চারিদিকে। ওদের নাম দেওয়া যাক গ্রহিক । ইংরেজিতে বলে asteroids । প্রথম যার দর্শন পাওয়া গেল তার নাম দেওয়া হয়েছে সীরিস ( Ceres ), তার ব্যাস চারশে পচিশ মাইল । ঈরোস ( Eros ) ব’লে একটি গ্রহিকা আছে, সূর্য প্রদক্ষিণের সময় সে পৃথিবীর যত কাছে আসে, এমন আর কোনো গ্রহই আসে না। এরা এত ছোটো যে এদের ভিতরকার কোনো বিশেষ খবর পাওয়া যায় না । এদের সবগুলোকে জড়িয়ে যে ওজন পাওয়া যায় তা পৃথিবীর ওজনের শিকি ভাগেরও কম। মঙ্গলের চেয়ে কম, নইলে মঙ্গলের চলার পথে টান লাগিয়ে কিছু গোল বাধাত । এই টুকুরো-গ্রহগুলিকে কোনো একটা আস্ত-গ্রহেরই ভগ্নশেষ ব’লে মনে করা যেতে পারে। কিন্তু পণ্ডিতেরা বলেন সে কথা যথার্থ নয়। বলা যায় না কী কারণে এরা জোট বেঁধে গ্রহ আকার ধরতে পারে নি ।