পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রহলোক ぬS) ১৯৩০ সালে বেরিয়ে পড়ল নূতন এক গ্রহ। তার নাম দেওয়া হোলো প্লুটো । এ গ্রহ এত ছোটো ও এত দূরে, যে, তুরবীনেও একে অনেক কষ্টে দেখা যায়। ক্যামের দিয়ে ছবি তুলে নিঃসন্দেহে এর অস্তিত্ব প্রমাণ করা হয়েছে। এ গ্রহই সূর্য থেকে সব চেয়ে দূরে, তাই আলো উত্তাপ পাচ্ছে এত কম যে, এর অবস্থা আমরা কল্পনাও করতে পারিনে । প্রায় ৩৯৬ কোটি মাইল দূর থেকে ২৫০ বছরে এ গ্রহ সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে । প্লটে। গ্রহটির তাপমাত্র হবে বরফগলা শৈত্যের ৪৪৬ ডিগ্রি ফারণহাইট পরিমাপের নিচে । এত শীতে অত্যন্ত তুরন্ত গ্যাসও তরল এমন কি নিরেট হয়ে যায়। আঙ্গারিক গ্যাস, অ্যামোনিয়া, নাইট্রোজেন প্রভৃতি বায়ব পদার্থগুলো জমে বরফ পিণ্ডে গ্রহটাকে নিশ্চয় ঢেকে ফেলেছে । কেউ কেউ মনে করেন সৌরলোকের শেষ সীমানায় কতকগুলো ছোটো ছোটো গ্রহ ছিটিয়ে আছে, প্লুটো তাদের মধ্যে একটি। কিন্তু এ মতের নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া যায় নি, কখনো যাবে কি না বলা যায় না। এখনকার চেয়ে অনেক প্রবলতর দুরবীন ঐ দূরত্বের যবনিকা তুলতে যদি পারে তাহলেই সংশয়ের সমাধান হবে |