পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

У о о বিশ্ব-পরিচয় মাইল ধরে । সেই হাওয়ার চাপ একফুট লম্বা ও একফুট চওড়া জিনিসের উপর প্রায় সাতাশ মোন । একজন সাধারণ মানুষের শরীরে চাপ পড়ে প্রায় ৪০০ মোনের উপর । তবুও তা টের পাইনে । যেমন উপর থেকে তেমনি নিচের থেকে, আবার আমাদের শরীরের মধ্যে যে হাওয়া আছে তার থেকে সমানভাবে বাতাসের চাপ আর ঠেলা লাগছে ব’লে বাতাসের ভার আমাদের পীড়া দিচ্ছে না । পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল আপন আবরণে দিনের বেলায় সূর্যের তাপ অনেকট ঠেকিয়ে রাখে, আর রাত্রিতে মহাশূন্যের প্রবল ঠাণ্ডাটাকেও বাধা দেয়। চাদের গায়ে হাওয়ার উড়নি নেই তাই সে সূর্যের তাপে ফুটন্ত জলের সমান গরম হয়ে ওঠে । অথচ গ্রহণের সময় যখনি পৃথিবী চাদের উপর ছায়া ফেলে অমনি দেখতে দেখতেই সে ঠাণ্ডা হয়ে যায় । হাওয়া থাকলে তাপটকে ঠেকিয়ে রাখতে পারত । চাদের কেবল এইমাত্র ত্রুটি নয়, বাতাস নেই ব’লে সে একেবারে বোবা, কোথাও একটু শব্দ হবার জো নেই। বিশেষভাবে নাড়া পেলে বাতাসে নানা আয়তনের সূক্ষ্ম ঢেউ ওঠে, সেইগুলে। নান৷ কাপনের ঘা দেয় অামাদের কানের ভিতরকার পাতলা চামড়ায়, তখন সেই সব ঢেউ নানা রকম আওয়াজ হয়ে আমাদের কাছে সাড়া দিতে থাকে। আরো একটি কাজ আছে বাতাসের । কোনো কারণে রৌদ্র যেখানে কিছু বাধ৷ পায় সেখানে ছায়াতেও যথেষ্ট আলো থাকে, এই আলো বিছিয়ে দেয় বাতাস। নইলে যেখানটিতে রোদ পড়ত কেবল