পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূলোক So a ছিল মাটি জল, লোহা পাথর প্রভৃতি ; আর সঙ্গে সঙ্গে ছিল অক্সিজেন, হাইড্রোজেন, নাইট্রোজেন প্রভৃতি কতকগুলি গ্যাস। নানা রকমের প্রচণ্ড আঘাতে তাদেরই উলটপালট ক’রে জোড়াতাড়া দিয়ে নদী পাহাড় সমুদ্রের রচনা ও অদলবদল চলছিল। এমন সময়ে এই বিরাট জীবহীনতার মধ্যে দেখা দিল প্রাণ, আর তার সঙ্গে মন । এদের পূববর্তী পদার্থরাশির সঙ্গে এর কোনোই মিল নেই । নক্ষত্রদের প্রথম আরম্ভ যেমন নীহারিকায় তেমনি পুথিবীতে জীবলোকে প্রথম যা প্রকাশ পেল তাকে বলা যেতে পারে প্রাণের নীহারিকা । সে একরকম অপরিস্ফুট ছড়িয়ে-পড়া প্রাণ-পদার্থ, ঘন লালার মতো অঙ্গবিভাগহীন, —তখনকার ঈষৎ-গরম সমুদ্রজলে ভেসে বেড়াত। তার নাম দেওয়া হয়েছে প্রটোপ্লাজম । যেমন নক্ষত্র দানা বেঁধে ওঠে আগ্নেয় বাম্পে, তেমনি বহুযুগ লাগল এর মধ্যে মধ্যে একটি একটি পিণ্ড জমতে । সেইগুলির এক শ্রেণীর নাম দেওয়া হয়েছে অমীবা ; আকারে অতি ছোটো ; অণুবীক্ষণ দিয়ে দেখা যায়। পঙ্কিল জলের ভিতর থেকে এদের পাওয়া যেতে পারে। এদের মুখ চক্ষু হাত পা নেই । আহারের খোজে ঘুরে বেড়ায় । দেহপিণ্ডের এক অংশ প্রসারিত ক’রে দিয়ে পায়ের কাজ করিয়ে নেয় । খাবারের সম্পর্কে এলে সেই সাময়িক পা দিয়ে সেটাকে টেনে নেয়। পাকযন্ত্র বানিয়ে নেয় দেহের একটা অংশে । নিজের সমস্ত দেহটাকে ভাগ করে করে তার বংশবৃদ্ধি হয় । এই অমীবারই আর এক