পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরমাণুলোক ○ > আগ্নেয় গ্যাসের বিস্তার দেখতে পাওয়া যায় দূরবীনে । এই দূর-বিক্ষিপ্ত গ্যাসের দীপ্তিকে যুরোপীয় ভাষায় বলে করোনা, বাংলায় একে বলা যেতে পারে কিরীটিকা । কিছুকাল আগে ১৯৩৭ খ্ৰীষ্টাব্দের সূর্যগ্রহণের সুযোগে এই কিরীটিক পরীক্ষা করবার সময় বর্ণলিপির নীলসীমানার দিকে, দেখা গেল তিনটি অজানা সাদা রেখা। পণ্ডিতেরা ভাবলেন। হয়তো কোনো একটি আগের জানা-পদার্থ অধিক দহনে নূতন দশা পেয়েছে, এটা তারি চিহ্ন । কিংব। হয়তো একটা নতুন পদার্থ ই বা জানান দিল । এখনো তার ঠিকানা হোলো না । ১৮৬৮ খ্ৰীষ্টাব্দের গ্রহণের সময় বিজ্ঞানীদের এই রকমই একটা চমক লাগিয়েছিল । সূর্যের গ্যাসীয় বেড়ার ভিতর থেকে একটা লিপি এল তখনকার কোনো অচেনা পদার্থের । এই নূতন খবর-পাওয়া মৌলিক পদার্থের নাম দেওয়া হোলো, হেলিয়ম, অর্থাৎ সেীরক । কেননা তখন মনে হয়েছিল এটা একান্ত সূর্যেরই অন্তর্গত গ্যাস । অবশেষে ত্রিশ বছর কেটে গেলে পর বিখ্যাত রসায়নী র্যামজে এই গ্যাসের আমেজ পেলেন পৃথিবীর হাওয়ায় অতি সামান্য পরিমাণে । তখন স্থির হোলো পৃথিবীতে এ গ্যাস হুলভ। তার পরে দেখা গেল উত্তর আমেরিকায় কোনো মেটে তেলের গহবরে যে গ্যাস পাওয়া যায় তাতে যথেষ্ট পরিমাণে হেলিয়ম আছে । তখন একে কাজে লাগাবার স্থবিধে হোলে। অত্যন্ত হালকা ব’লে এতদিন হাইড্রোজেন গ্যাস দিয়ে আকাশযানগুলোর উড়োনশক্তির জোগান দেওয়া হোত । কিন্তু হাইড্রোজেন গ্যাস