পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নক্ষত্ৰলোক (? (? আরো অনেক নাক্ষত্র দ্বীপ। এই দ্বীপগুলির মধ্যে সব চেয়ে আমাদের নিকটের যেটি, তাকে দেখা যায় অ্যাণ্ডোমীড নক্ষত্র দলের কাছে । দেখতে একটা ঝাপসা তারার মতো । সেখান থেকে যে আলো চোখে পড়ছে সে যাত্রা ক’রে বেরিয়েছে ন লক্ষ বছর পূর্বে। কুগুলীচক্র-পাকানো নীহারিক আরো আছে আরো দূরে । তাদের মধ্যে সব চেয়ে দূরবর্তীর সম্বন্ধে হিসাবে স্থির হয়েছে যে, সে আছে তিন হাজার লক্ষ আলো-বছর দূরত্বের পথে । বহু কোটি নক্ষত্র-জড়ো-করা এই সব নাক্ষত্র জগতের সংখ্যা একশো কোটির কম হবে না । একটা আশ্চর্যের কথা উঠেছে এই যে কাছের ফুটে৷ তিনটে ছাড়া বাকি নাক্ষত্ৰজগৎগুলো আমাদের জগতের কাছ থেকে কেবলি সরে চলেছে। যেগুলি যত বেশি দূরে তাদের দৌড়-বেগও তত বেশি । এই সব নক্ষত্ৰজগতের সমষ্টি নিয়ে যে বিশ্বকে আমরা জানি, কোনো কোনো পণ্ডিত ঠিক করেছেন সে ক্রমশই ফুলে উঠছে । সুতরাং যত ফুলছে ততই নক্ষত্রপুঞ্জের পরস্পরের দূরত্ব যাচ্ছে বেড়ে । যে বেগে তা’র সরছে তাতে আর একশো ত্রিশ কোটি বছর পরে তাদের পরস্পরের দূরত্ব এখনকার চেয়ে দ্বিগুণ হবে। অর্থাৎ এই পৃথিবীর ভূগঠনের সময়ের মধ্যে নক্ষত্রবিশ্ব আগেকার চেয়ে দ্বিগুণ ফেঁপে গিয়েছে । শুধু এই নয়, একদল বিজ্ঞানীর মতে এই বস্তুপুঞ্জসংঘটিত বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গে গোলক রূপী অাকাশটাও বিস্ফারিত হয়ে