মনপ্রাণের উৎকর্ষ রসের বোঝা নিয়ে বসে থাকে, যে চায় তাকে বিলোয়। দেহ নেহাত খুদে না হলে, ওরা হয়তে মানুষের সঙ্গে সমানে টঙ্কর দিত। নাবিকেরা এক দ্বীপের গল্প করে, যেখানে ডেঞে পিপড়ের দল এমন আডিডা গেড়েছিল যে, সেখানে অন্ত কোনো জানোয়ার থাকার যো ছিল না ; তার দ্বীপ দেখবে বলে যেমন নৌকো থেকে নেমেছে, আর পিপড়ের দলবদ্ধ আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পালাতে পথ পায় না। ৰু বছর পর আর একবার সেথানে খবর নিতে গিয়ে সেই নাবিকেরা দেখে যে ইতিমধ্যে এক প্লাবনে পিপড়েরা উজাড় হয়ে গেছে, মানুষ সমেত নানা জন্তুর বসবাস শুরু হয়েছে । পিপড়েরা যে, সংঘশক্তির জোরে চলে-ফেরে, তার একটা প্রমাণ বললেই হবে । বাঘ-সিংহকে আলাদা করে খাচায় রাখলে, দুটি দুটি খাবার যোগালে, তারা আয়ুর শেষ পর্যন্ত তাতেই টিকে থাকতে পারে। কিন্তু দুটি একটি পিপড়েকে প্রচুর খাবার দিয়েও আলাদা করে রাখলে তার বঁাচে না । পোকাসমাজের একটু একটু যা ছবি দেখা গেল, তা থেকে কিছু তত্ত্ব উদ্ধার করা যায় কি, যা আমাদের এ পালায় কাজে লাগতে পারে। এক তো বোঝা যাচ্ছে যে, খালি আমি-হারা হলেই বড়ো হবার দরজা খুলে যায় না। দেবীর উপর অভিমান করে কবি জিজ্ঞাসা করেছেন, “কোন অপরাধে এ দীর্ঘ মেয়াদে সংসারগারদে থাকি, বল্ ?” লে বিলাপের উত্তর এই—গৃহস্থ যদি গতানুগতিকের গোলাম হয়ে চলে, নিজের পায়ে নিজেই শিকল পরায়, তবেই তার সংসারটা আশ্রম না হয়ে গারদে দাড়ায় । যেটা ভবের লীল হবার কথা, তাই হয় ভবযন্ত্রণা। হিন্দু যখন স্বাধীন বুদ্ধিবৃত্তি খেলানো ছেড়ে দিল, তখন থেকে চোথের জলে তারাকে ডাকতে ডাকতে তার দিন কাটছে, বিধাতার > o. o
পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/১০০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।