প্রবাসী-গ্রামবাসী সংবাদ অমন সুবিধে পেলে তোমাদের চেয়ে অনেক কারদানি দেখাতে পারতাম । - একজন মোটাসোটা গ্রামবাসী এগিয়ে এল,—*নিঃস্ব কাকে বলে জানতে চাও তো আমায় দেখো । আগেও নিঃস্ব এখনো তাই। তবে আগে পাচ সাত মুদ্রা যোগাড় করে টেক্সটুকু দিতে পারলেই চুকে যেত, আর জালাতন করত না । কুকুরটা পর্যন্ত বাড়ি ঢুকতে পেত না। এখন টেক্স লাগে না বটে, যা দরকার তাও পাই, কিন্তু খানাতল্লাশের জালায় প্রাণ যায়। আর কেটে নেয় কত—বাড়ির বিমা, ফসলের বিমা, এর পর বলবে হাত-পা’র বিমা।” এক শ্রোতা। আরে ভাই, বিমা কি খারাপ জিনিস। নিঃস্ব। খারাপ কে বলছে। কিন্তু আমার খাটুনির দাম থেকে কাটবে কেন। নিঃস্ব বলে কি আস্ত আস্ত মুদ্রা কাটা গেলে মায়া লাগে नीं । আবার হাসি পড়ে গেল । প্রথম শ্রোতা । খুচরো অসুবিধের কথা ছেড়ে দাও। আমি বলি গোড়ায় গলদ । দেখে প্রবাসী ভায়া, তুমি তো জান একই পরিবারের মধ্যে লোকে গালাগলি চুলোচুলি না করে থাকতে পারে না ; আর এই পরকে নিয়ে সমবায় করা, এতে ঝগড়াবীটি হাতাহাতি লাগবে না ? কিছুদিনের মেয়াদ হলেও হত, এ যে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ? দ্বিতীয় শ্রোতা। যা বলেছ ভাই। খাওয়াপরা ঠিক থাকলেই তো হয় না, নিজের ইচ্ছেমতো ফসল লাগালাম, ইচ্ছেমতো খাটলাম কি বসে রইলাম, জমালাম কি খরচ করলাম,—এ না হলে কি সংসার করা বলে। আমরা তো জেলখানায় আছি,—যা বলবে তাই করে, যা দেবে তাই খাও, পরের ভাবনা ভেবে মরো । '3'ఆ -
পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/১১৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।