এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
প্রবাসী-গ্রামবাসী সংবাদ
- রাত ভোর বকবিকি, চোখের জল ফেলাফেলি চলল ; শেষে সকলের মন খোলসা হয়ে গেল, পরস্পরের প্রতি আড় ভাব রইল না। সবাই মিলে স্থির করলাম—ভালো মনে সমবায়ী হব। শুধু জমি কেন, বাড়িঘর জানোয়ার আসবাবপত্র, নিজের বলে আর কিছুই রাখব না, সত্যিকার নিঃস্ব হয়ে বলব—যা করে সমবায় ।
“এ রকম কাজ আধা-খেচড়া করা কিছু নয়, ইস্পার নয় উস্পার । তাই আমরা খালি হাতে পরিষ্কার মনে সমবায়ে ৰোগ দিলাম । -
- সবই মুখের হয়েছে, তা মিথ্যে করে বলব কেন । সমবায়ের হাত এখনো পাকেনি, কিছু ঢিলেমি আছে, কিছু বা নষ্টামি, অনেক গলতি আছে যেগুলো মাঝে মাঝে পীডা দেয়। আগেকার মতো ভালো খেতে পরতে পাই, তাও নয়। দেখছ তো খালি পায়ে আছি, জুতো বাচিয়ে না চললে শীতকালে করব কী।
“কিন্তু দুঃখের কথাই বা এমন কী আছে। এই পুরোনো বাড়ির দুটি ঘরে আমাদিগকে থাকতে দিয়েছে। দুধ রুটি যথেষ্ট দেয়, মাঝে মাঝে ডিম পাই, হস্তায় একদিন মাংস,-পুষ্টির কম্ক্তি নেই। “আসল লাভ হয়েছে কী জান ? হৃদয়ের খিল খুলে গেছে, মনের প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছি। আমার সেই একার বাড়ি এখন কত লোককে আশ্রয় দিচ্ছে। তাদের ছেলেপিলের সঙ্গে খেলা করে যে আনন্দ পাই, তার রস আগে জানাই ছিল না —এই তো ব্যাপার, বুঝলে হে ভায় ।” పిచ్చి8