পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসী-গ্রামবাসী সংবাদ । নেতার ইঙ্গিতে সহকারী উঠে গেল ; একটু পরে আমার জঙ্গে একটি রেকাবে বাজরার রুটি আর একপাত্র দুধ এনে দিলে। আমি খেতে বসলে নেত্র। বলতে লাগল,— “আপনি চাষাদের সব কাছুনি শুনেছেন নিশ্চয়ই ?” “খুব শুনেছি ” দুজনে মুখ চাওয়াচাওয়ি করে মুচকে হাসল। নেতা বললে, “কিছুদিন থাকলে আরো অনেক শুনবেন। যে কাদে না সে চাষাই না! আমি ভূক্তভোগী, জেনে বুঝেই বলছি । আমার এক খুড়োমশায় আছেন, তিনি কাদুনের সরদার।” আর এক পত্তন হেসে— “আসুন আপনাকে সব দেখাই”— বলে দুজনে উঠে পড়ল। বেরিয়ে আসতেই আপিসঘরের লাইনে, এক সার নতুন বাড়ি দেখা গেল। অনেকটা গ্রামবাসাদের বাড়ির ধাচার, তবে চাল উচু, দরজাজানলা বড়ো, দুটি করে ঘর, সাজসরঞ্জাম সামান্ত, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। এগুলি সমবায়ীদের থাকার বাড়ি । পরে যাওয়া গেল গোয়াল দেখতে । তিনটি মস্ত লম্বা চালা ঘর, এক একটিতে দেড়শ দু’শ গোরু আরামে থাকতে পারে। চাষাদের গোয়ালের তুলনায় বেশ ফাক খট্‌খটে চেহারা। এরা আশা করে এই বছরের শেষ নাগাদ শ” আষ্টেক গোরুবাছুর দাঠিয়ে যালে ; বাকি গ্রামের সব গোরু ধরলেও এত হয় না। শীতকালে চাষার গোরুকে খড়বিচিলির কুটির সঙ্গে একটু আধটু ভূষি কিম্বা আলুর খোসা ছাড়া কিছু দিতে পারে না। এদের ব্যবস্থা ভালো, মার্কিন পদ্ধতি (silo) অনুসারে গর্মিকালে কাচা ঘাস-পাতা-ডাটা মাটির তলে পুতে রাখে, তাই দিয়ে বারো মাস রসালো জাব দিতে পারে। >さも