গোপিক!-কত্রীর কথা বীরা ছিল দরজীর মেয়ে। বিপ্লবের আরম্ভে বাপ মারা যায়। শ্রমিকের সস্তানের পক্ষে সব বিদ্যালয়ের দ্বার খোলা, জায়গা পাবার জন্তে উমেদারি করতে হয় না। বীর শীঘ্রই বিদুষী হয়ে উঠে কৃষিতত্ত্বের ডিগ্রী নিলে। তার পর রাজধানীর বড়ো বিদ্যালয়ে আরো পড়ার ইচ্ছে ছিল, কিন্তু ওর গুণপন দেখে কতৃপক্ষেরা তা করতে দিলেন না, ওকে সমবায়ের কাজে টেনে নিলেন। বীরার বিপ্লবে জলন্ত নিষ্ঠা, সমবায়ের নিয়মকুণমুন কণ্ঠস্থ, বলতে কইতে, লোককে বাগাতে, বশ করতে ওর জুড়ি নেই, তাই ওকে এখানে নেত্রী করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সমবায়ের বিশেষত্ব এই যে, এতে শুধু রুশ নয়, ইহুদী, পোল, লেট, লিথুয়েনীয়, পাঁচ দেশের লোক জুটেছে, সমবায়ী ক্রমাগত বেড়েও চলেছে। তাই উপযুক্ত নেতা চাই । বীরার ঘাড়ে পড়েছে অশেষ রকমের কাজ । লেকচার, পাঠ, আলোচনা, আমোদপ্রমোদ, এ সবের আয়োজন করা তো চাই, তার উপর সমবায়ের সাপ্তাহিকপত্র চালানো, নানা জাতের সমবায়ীদের মিলশ করানো, ফাক পেলে গ্রামে গ্রামে প্রচারে বেরোনো । ওর সরকারী পদ হল পশুবেত্তা-দুহিত, সে হিসেবে ওকে দিন তিনবার আটটি গোরু নিজে দুইতে হয়, তাতেও টিলেমি নেই। রাতভোর আলোচনা-সভা চালিয়ে এলেও দোয়াবার সময় বীরা ঠিক হাজির। একটু পরে কাপড় ছেড়ে বীরা হাসিমুখে ফিরে এল, আবার সেই গারু দুইতে বসল, যেন কিছুই হয়নি। আমি দোয়া দেখছি আর বাক হয়ে ভাবছি, বিশ্বাসই হচ্ছে না যে এই-সবে কৈশোর-পেরোনো য়েটুকুর ভিতর এত থাকতে পারে। দোয়া হয়ে গেলে গোরুকে গায়ালে তুলে, সেখানকার অবস্থা ঠিক আছে কি না দেখে নিয়ে, বীর צבא צ
পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/১৩১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।