ফলেন পরিচয়তে উৎকর্ষ সাধনে তাকে উদাসীন করে তোলে কি না। লক্ষ্মীর মান রেখে বিচার করতে হলে, দেবীর বস্তুতান্ত্রিক স্থল মূর্তি গড়লে চলবে না, আনন্দলাভ দিয়ে তার প্রসাদকে মাপতে হবে। তৃতীয়বর্গ, কাম। ব্যবহারের দোষে কথাটা যাচ্ছে-তাই হয়ে গেছে। আমাদের কথা গোড়ায়ও যা ছিল, শেষেও ভাই,—মান্বযের মূল ঐছিক কামনা হচ্ছে, জগতে লক্ষ্মীর প্রতিষ্ঠা । সেটা সম্ভব করতে হলে •নুরনারীর আপনাদিকে নারায়ণের, বিশ্বমানবের অংশ বলে বোঝা দরকার। সে বোধ অন্তত আমাদের দেশে এ পর্যন্ত হয়নি। দেবী ব’লে হোক, আর রমণী-কামিনী বলেই হোক, হিন্দুর মন স্ত্রীজাতির ডাইনে বায়ে ঘুরতে থাকে বটে, কিন্তু সেরেফ নারী বলে র্তাদিকে নিজের মহিমায় ফুটতে না দেওয়ায় বেচারীদের মন একেবারে গণ্ডিবদ্ধ হয়ে পড়েছে। দিদিমার বা বাড়ির পুরানো বির পরামর্শমতে এর পায়ে ওর পায়ে মাথা নোওয়াতে, পাণ্ডাপুরুতের ফরমাশ মতো এজলে ও-জলে মাথা চোবাতে তো শেখে, কিন্তু কালের উপযোগী কোনো ভাব কি আদর্শ শেখায় কে। আরো মুশকিল এই, যাদের শিক্ষার ক্রটিতে হিন্দুনারীর এই দশা, তারাই তাচ্ছিল্য করে তাদিকে ধর্ম-অৰ্থ উপার্জনের পথের কাটা বলেন। বৃথা আক্ষেপ করার জন্তে এ কথা তোলা হয়নি। শাস্ত্রে বলে *নয়’কে বেশ করে চিনে ফেলাই *হয়”কে পাবার একটা উপায়। USSR-এর বিধানে নরনারীর যা সম্বন্ধ দাড়িয়েছে, সেখানকার বিপ্লবী সমাজে নারী যে স্থান পেয়েছে, তাতে আত্মোন্নতির সুবিধে অস্ববিধে কেমন, তাই আমাদের এ পালায় বোঝার বিষয় হবে, সেজন্তেই এই তুলনামূলক সমালোচনা। বাকি রইল মোক্ষ,—আকাশের মতো একটা মস্ত ফাৰণ কথা । S8 y
পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/১৪১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।