পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/১৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্বর্গের ফল বিচার থাকে না কি। অন্তত এইটুকু জোর করে বলা চলে,—লীলাষয়ের দেওয়া খেলা ফুতি করে খেললে তার সঙ্গে ঝগড়ার কারণ হতেই পারে না । আপত্তি করতে পার,— এসব ভারতবষী ভাব রুশদেশ সম্বন্ধে খাটৰে না । আচ্ছ বেশ, ওদেরই পাঁচজনের কথা একজনের জবালিতে, আমাদের সেই প্রবাসীর টোকা থেকে শুনিয়ে দেওয়া যাক। এক বিপ্লবী সমবায়-সম্পাদক বলছেন,—“মার্কিন দেশ থেকে যারাই আমাদের বিপ্লবের খবর করতে আসে, তার জিজ্ঞেস করে—ওহে, তোমরা যে এত ভাবছ, এত খাটছ, যতই অসুবিধে হোক ভালো মনে সয়ে যাচ্ছ, এ কোন সম্পদ পাবার আশায়। তোমাদের নিজেদের পাওনা-ধোওনার তো কোনো ব্যবস্থাই দেখছিনে। “আমাদের উত্তর এই—তোমরা যে সব বিলাসের উপকরণকে সম্পদ বল, তা আমরা পাব না বটে, পাবার শখও নেই ; পরের ঘাড়-ভাঙার যে ক্ষমতাকে তোমরা খ্যাতি-প্রতিপত্তি বলে থাক, তাও পাৰ না, পেলে নিতাম না ; কিন্তু আমার গ্রামের ফসল বাডুক, আর হাজার মাইল দূরে থাল কেটে জলদানের ব্যবস্থা হোক, আমার পাড়ার কারখানা ভালো চলুক, আর অল্প প্রদেশের খনি থেকে রত্ব উঠুক, সৰ তা’তে আমার মনপ্রাণ ঝংকার দিয়ে ওঠে, কারণ আমি জানি, এ সৰ কোনো সম্পদ একজনের বা একদলের নয়, সমৃদ্ধি সকলেরই ; আর সে “সকলের মধ্যে আমিও আছি, সুতরাং আমারই । এত বড়ো লাভের জন্তে যে কতৃত্বটুকু ছাড়তে হয়েছে, সে ত্যাগে কাটা নেই, তাতে সমবেত সম্ভোগের যে ফুল ফোটে তার রাষ্ট্রজোড়া গৌরতে আমরা নিশিদিন মাতোয়ারা। সোনায় গিলটি করা লাগে না, ফুলে রং দিতে হয় ᎼᏩ Q