স্বে মহিমি প্রকৃতির নিজের জন্মটা কিনা আনন্দ থেকে, তাই তিনিও সন্তানদের জীবনযাত্রায় আহারে বিহারে ব্যায়ামে বিরামে, পদে পদেই আনন্দের ব্যবস্থা করেছেন। বংশবৃদ্ধি কাজটা জীবনের ধারা চালাবার পক্ষে যেমন দরকারী, স্ত্রী-পুরুষের আনন্দের বরাদ্দটাও তেমনি বেশি। যে কাজের সঙ্গে যে আনন্দ দেওয়া আছে, পশুরা তাই সাদালিৰে ভাবে উপভোগ করে। যেমন আহলাদ করে খায় দায় লাফায় বর্ণপায় "মোয়, তেমনি ক্ষতি করে যথাকালে জোড় বঁধে, বাচ্ছা দেয়, তাদিকে খোরাক যোগায়, লায়েক হলে সংসারে ছেড়ে দিয়ে জীবনের এক পরিচ্ছেদ খতম করে । লোভ মানুষকে পেয়ে বসায় তার এমন বদ অভ্যেস হয়ে গেছে যে, পরিচ্ছেদ ছেড়ে সে জীবনের কোনো প্যারাগ্রাফকে ফুরোতে দিতে চায় না। প্রকৃতিমায়ের দেওয়া আনন্দ যেখানে যা পাবার, এমন কি যেপানে নাও পাবার, ক’চলে বেশি করে আদায় করতে গিয়ে, জীবনটাই বিস্বাদ ক’রে ফেলে। ফলে দুর্ভোগী আর ফাকা-ত্যাগী দুই দলে সমস্বরে ফুকরে উঠে—”সবি ইঃ আর উঃ আর আঃ, জীবনটাই কিছু নাঃ ” আহারের ব্যৱস্থা দেখলে মানুষ-জাতের ভাবট পাওয়া যায়। মুখে যেক্ট খাবার ভালো লাগা, অমনি বুদ্ধি এসে বাতলায়—“এক জিভটার উপর সব চাপানো কেন, চোখ-রুচি সাজাও, নাক-রুচি গন্ধ লাগাও, কানরুচি.হাপুস্ত্ৰ-ছপুসও যেন বাদ না যায়, তবে তো বোলো আন মজা পাৰে। সেই সঙ্গে রিপু জুটে ফোস্লায়,—“খিধের কমতি থাকলে চাটনি ; পেট ভার করলে হজমীগুলি ।” রোমানরা ছিল বড়ো পাকা জাত। ভোজে একপ্রস্থ নতুন ব্যঞ্জন পরিবেশনের যোগাড় দেখলে, উঠে গিয়ে বমি ক’ৱে জায়গা খালি ক’রে আসত ! এমন জাত কলির শেষে মুষলিনী প্রলৰ করলে কেন, যদুবংশের ইতিহাসে তার নজির পাওয়া যেতে পারে। ›¢ ግ
পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/১৫৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।