স্বে মহিমি গুলিয়ে ফেলা হয়, সেখানেই বুদ্ধিবিপাকে পড়ে একটা না একটা সমস্ত পাকিয়ে উঠতে চায়। তাই এক পত্তন সাংসারিক ভাবগুলিকে ছাড়িয়ে ছুড়িয়ে সাদা বুদ্ধির আলোতে তুলে ধরে, মাথাটা ভাষাটা পরিষ্কার করে নেওয়া যাক। বাধি গৎ নিয়ে গ’লে থাকলে চলে না । খুটিয়ে দেখতে গিয়ে কোনো ভাবের অপ্রচলিত চেহার বেরিয়ে পড়লেও তাতে ভয় পাবার কিছু নেই। • প্রথমে ধরে স্নেহ। এ কথাটা বেশ। যে ভাব মায়ের বুকে দুধ টেনে আনে, যেভাবে ছেলেকে কোল ধরে মা-বাপে আদর করেন, সাজান গোজান, খেলেন খেলান,– মেছ তার উপযুক্ত নাম। অপর পক্ষে, মেহের বিনিময়ে যে মিষ্টি রস মা-বাপ আদায় করে নেন, ছেলেকে পালন করার পরিশ্রমের তাই তাদের পুরস্কার,— বড়ো হয়ে ছেলে কৃতজ্ঞ হৰে তার অপেক্ষ দুনিয়াদারির অভ্যেসে মা-বাপ করতে পারেন, কিন্তু স্নেহতে তা করায় না। এই পুরস্কার প্রাণ ভরে উপভোগে কোনো দোষ নেই যদি মনে রাখা যায় স্নেহের স্বাভাবিক:আয়ু শিশুকালের সীমার মধ্যে পরিমিত । শিক্ষাদীক্ষার সময় এলে স্নেহের জায়গায় মিত্রতা আসার দরকার, নইলে বুড়ে ছেলেকে আঁচল-বাধা করলে, কিংবা নিজের মনের মতো তার স্বভাবকে মোচড়াবার চেষ্টা করলে, না ছেলের না মা-বাপের পক্ষে ভালো । সে যাই হোৰ; আমরা যে বন্ধনহীন প্রেমের কথা বলছিলাম, এ পরিমিত বাৎসল্যবৃত্তি সে প্রেম নয়। তবে স্নেহভক্তির জঞ্জাল যথাকালে কাটিয়ে উঠতে পারলে, মা-বাপ ছেলেমেয়ের মধ্যে সেই অহেতুকী প্রেমের সঞ্চার হতে পারে না, এমন কোনো কথা নেই। ভক্তি জিনিসটা কিন্তু অদ্ভুত। শ্রদ্ধাতে ভক্তিতে তফাত এই যে, সত্যিকার কোনো গুণ অনুভব করলে, অন্তদোষ দেখা সত্ত্বেও শ্রদ্ধ। আপশি >心°C fo-n->>
পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/১৬১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।