স্বে মহিমি লোকারণ্য হলেও হট্টগোল নেই। উৎসব থেকে মেন একটা প্রশান্ত আনন্দ উঠে আকাশ ভরে রেখেছে।” একজন ফরাসী বন্ধু টিপ্পনি কেটেছিলেন—“এত অকাল-গাম্ভীর্য কি ভালো। ছেলেমেয়েদের মধ্যে ফচকেমি নেই, টিটকারি নেই, কথা-কাটাকাটি নেই,—বয়স হলে এরা কি স্বাধীন বিচার করতে পারবে, না ধামাধরার দল তৈরি হবে।” ১. তার উত্তরে লেখক বলছেন, —“এদের অকাল বাধক্য নয় গো— অকাল-যৌবন । যাদিকে তরুণ-তরুণী বলছি তার যে-বয়সে যৌবনের ফুfত টেনে রেখেছে, তাতে আমাদের দেশে বুড়িয়ে বসে যেত।” বাস্তবিকই সত্যিকার গাম্ভীর্য যৌবনাননেরই জিনিস, জরার শিথিলতায় তাকে পাওয়া তো যায় না । আমাদের আরো মস্তব্য এই—সমাজবুদ্ধের সর্বদা আশঙ্কা করেন, নারীকে নেপথ্য গারদের বাইরে ছাড়া রাখলে, ইচ্ছেমতো চলতে ফিরতে দিলে, সমাজ লণ্ডভণ্ড হয়ে যাবে।—ইচ্ছেকে তারা কত ভয় করেন “যাচ্ছে তাই” কথাটার দুর্দশ থেকেই মালুম দেয়। কিন্তু কই—USSRএতা তো হল না। হবেই বা কেন । ননী খাওয়ার মানা না থাকলে ছেলে তো ননীচোরা হয় না। আমরাও এককালে ছেলেমামুৰ ছিলাম,—মনে পড়ে, বারণ না থাকলে দুষ্টুমিও বোদা লাগত। স্বারা বন্ধুত্বের আজ রস চাইলেই পায়, কামের পচা ভোগ তাদের রুচৰে কেন। যারা দুশ্চিস্তামুক্ত, সারাদিন হিত কাজে রত, শয়তান হোক শনি হোক, তাদিকে বদবুদ্ধি দেবার ফাকই পায় না। এ বর্গের শেষ প্রশ্ন এই– স্বাভাবিক বৃত্তি আশ মিটিয়ে খেলাবার সুবিধে পেয়ে, তাদের নিয়ে বাড়াবাড়ি করার কারণ ঘুচে গেলে, তখন কি USSR-এর নরনারীর মধ্যে বিদেহী প্রেমের চলাফেরার পথ •్న ఇ )
পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/১৭১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।