পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/১৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ন হি কল্যাণকৃৎ তুর্গতিং গচ্ছতি মানব-লীলার ভূমিকা (ইংরেজীতে যাকে বলা যায় play ground) সেটা কেমন । রামধন্থর মধ্যে ক'টি রং । এর উত্তর নানা রকমে দেওয়া যায়। চুল-চেরা বিচারক বলবে অসংখ্য—পাশাপাশি কোনো দুই রং ঠিক এক নয় ; যুরোপের লোকে যে সময় উত্তর দেয়, তখনকার চলতি নামমতে সাত রং বলেছিল ; মোটামুটি তিন রকমের রং-ও বলা যায়,—উপরের দিকে নীল জাতীয়, নিচের দিকে লাল-জাতীয়, মাঝে হারা-হারা। মানবাত্মার খেলাভূমি সম্বন্ধে তেমনি একভাবে দেখলে অসংখ্য লোক বলা যায়,—এই যে ইহলোক, এর মধ্যেই খেলুড়ে কখনো জড়ের টানে অন্ধকারে ঘুরে মরে, কখনো মেঘের একটি রং, গানের একটি মুর মনের একটি স্বভাব, তাকে কোন উচু চূড়োয় তুলে নিয়ে উপরের আলো দেখিয়ে দেয়। শাস্ত্রে বলে সপ্তলোক। মোটামুটি তিনটি নিয়ে আমাদের কথা চলতে পারবে,—উপরে তেজোময় অমৃতময় আনন্দলোক, নিচে অন্ধ তমসাবৃত মৃত্যুলোক, মাঝে আলো-ছায়া মেশানো রং-বেরঙে মনোহর বৈচিত্র্যলোক । আর যে খেলুড়ে, তারি বা চেহারা কী রকমের। সে তো ব্যক্তির উর্দি পরে খেলায় নেমেছে। সে আবরণের ভিতরেও তার সত্তার তিন স্তর—নিচে জড়তার, যার দরুন সে এক পত্তন তলিয়েছে। উপরে আননের তেজ, যার টানে লে আবার স্বস্থানে ফিরতে পারে ; মাঝে বুদ্ধিবৃত্তির খেলা, যা তাকে তোলপাড় করে ঘুরিয়ে বেড়ায়। ডুব দেবার সময় কিন্তু আদিস্থানের সঙ্গে তার যোগ ঠিক থাকা চাই, সেটা ছেড়ে গেলে আর ওঠার উপায় থাকে না, তলিয়ে হার হয়ে যায় । ›ማ©