ন হি কল্যাণকুৎ দুৰ্গতিং গচ্ছতি করে নয়নজলে বয়ান ভাসাল অবহু মোহের নকল আননা টেকসই হয় না, তাই শিষ্যের মেজাজ ক্রমশ রুক্ষ হচ্ছে বা নির্বিচারে মানুষকে মানুষ বলে ভালোবাসতে পারছে না, দেখলে, বোঝা যায় গুরুকরণে গলতি হয়েঙ্গে, পরশমণির ছোয়া পায়নি। আমাদের ধারণা অনুসারে গুরুর দেওয়া মন্ত্র ক দিয়ে আরম্ভ কি হ দিয়ে আরম্ভ তাতে কিছু আসে যায় না, কোনো মন্ত্র না দিলেও লোকসান নেই ; নিজে প্রেম টানতে পারলেই সদগুরু শিষ্যকে বাঞ্ছিত ধন দিতে পারবেন। সাধনা ক্রো রকম বেরকমের হয়ে থাকে, কিন্তু আনন্দ পাওয়া দেওয়ার যে প্রেমের অবস্থাকে সিদ্ধি বলা যায়, সে কি আর এক বৈ দুই হতে পারে । গী হার কথা ধরলে সে-সিদ্ধি যেন সাধনার উপর নির্ভরই করে না। যার যেমন ভাবনা তার সে পর্যন্ত সিদ্ধির দৌড, আমরা তো এভাবে গীতার উপদেশ বুঝেছি। ভাবনা বলতে মাথা বকানোও নয়, কল্পনা খেলানোও নয় ; এ খানে “ভাবনা ’ মানে “হওয়া ।” যে যত প্রেমিক হতে পেরেছে তার সিদ্ধি-লাভ ততটাই । বিনা প্রেমে গুরুর পক্ষে নন্দলালকে পাইয়ে দেবার চেষ্টা বৃথা । অপর পক্ষে প্রেম থাকলে সৎশিষ্য গুরুকে উপলক্ষ করে নিজের আবেগের জোরে নিজের কাজ হাসিল করতে পারে । শ্রদ্ধায় যে প্রশ্ন'লর মনে জন্মায়, উত্তর তার মধ্যেই নিহিত থাকে, গুরু-দর্শনের আনন্দে আপনিই প্রকাশ হয়ে পড়ে। এক রসিক বলেছিল শিষ্য গুরুকে বলে “মন-তোর-দে,” গুরু শিষ্যকে বলেন “মন-তোর নে।” শিষ্য নি৯েরই সাধনের ধন গুরুপ্রেমের আলোয় দেখতে পায় । আর এক সমস্ত হচ্ছে, সব সদুপদেশই বলে লোকের হিতে রত থাকতে। মুশকিল এই তো নিজেরই হিতাহিত বুঝে ওঠ দায়, পরের হিত - ՖԳa
পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/১৭৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।