ন হি কল্যাণকৃৎ দুৰ্গতিং গচ্ছতি চোটে পৃথিবীময় নরনারীর সহজ সুন্দর সম্বন্ধটা মাটি করবার যোগাড় করে এনেছে। বিদেহী প্রেমের খেলা দেখলেও তাদের পক্ষে চেলা সম্ভব হয় না ; মনের মধ্যে আভাস পেলেও প্রকাশের ভাষা জোটে না । এক যদি এ দেশ থেকে প্রেমধন নিয়ে কোনে। সাধক রুশে যান, USSR-এর সমবায়ীদের সঙ্গে সম্বন্ধ পাতান, তিনি তাদের মুক্তির রাস্তায় প্রগতির কথা বলতে পারবেন। সেখানে সমাজের যে ভূমিকা গড়ে উঠেছে, তাতে না করে সহকর্মী নারীকে “কামিনী" জ্ঞান, না করে কাঞ্চনে নিজের জন্তে লোভ,—এমন স্থান সাধকপছন্দ তীর্থ না হবে কেন । আমাদের কথা তো ফুরল, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে বিপদও ঘনিয়ে এল। যুগল-মিলন না ঘটিয়ে কথা শেষ করলে নেহাতই বেদস্তুর হবে, কথককে শ্রোতারা দুয়ো দেবে। অথচ যতবার ধুয়োয় এসে খোজ নেওয়া গেছে,—নারায়ণ বলেন লক্ষ্মার প্রতিষ্ঠা না হলে তিনি ধরা দেবেন না ; লক্ষ্মী বলেন যেখানে নারায়ণের দর্শন নেই সেখানে তিনি স্থির হয়ে থাকতে পারেন না । এখন উপায় ? কবির বিপদ গনলে বাণীকে ডাক দেন ; আমরাও তবে ভারতীর শরণাপন্ন হই; তিনি আমাদের ভোতা বুদ্ধিবৃত্তিতে ধার দিয়ে, যে সৰ গঠ পড়ে সামালুর সত্ত টুকরো টুঃরো হয়ে গেছে, সেগুলো কেটে ফেলে আস্ত মানুষ হয়ে ওঠবার উপায় করে দিন। তিনি ছাড়া আর কে বুঝিয়ে দিতে পারবে যে, নরনারী লক্ষ্মীনারায়ণ সবই একমেবাদ্বিতীয়ম্। מ של
পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/১৮১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।