কী হবে অমান্থষিক অত্যেচার এডাবার ভাবনা করতে করতে শ্রমিকদের সমবেত সমিতির যে পরিকল্পনা উদয় হয়েছিল, সেটাই হল আসল জিনিস– তাকে বাস্তব রূপ দিতে শেষে অস্ত্রের সাহায্য লেগেছিল বটে, তা সত্ত্বে - জীবিকার উপায় করা হল তলোয়ার গলানো লাঙল-ফলায়, তাও চালাবার ভার সমবায়তন্ত্রের, যার ধর্মই হল মিলেমিশে কাজ করা । কাজেই, USSR এমন কোনো রক্তবীজ বুনেছেন যার ঝাড় তাদেরই কলু হবে, সে কথা বলা যায় না । ঘরে বাইরের শক্রর সঙ্গে অহিংসারীতি অনুসারে যুদ্ধব্যাপার না চলায়, আমাদের মহাত্মার মতে হিংসার জড় ভিতরে থেকে গিয়ে শেষে মারমুভিতে দেখা দেবার আশংকা আছে। কিন্তু এ যুদ্ধের আগে পর্যন্ত USSR-এর হিংস্র ভাব কিছু তো প্রকাশ পায়নি। ইরান দেশকে রুশ সম্রাট প্রায় গিলে ফেলেছিল, USSR তাকে ভালো মনে, প্রতিদানের দাবি না করে, মুক্তি দিয়ে স্বায়ত্তশাসনের পথে এগিয়ে দিলেন। সম্রাট আমলের খ্ৰীষ্টানধৰ্ম প্রবল থাকতে ইহুদীদের উপর যে অকথ্য নিষ্ঠুরতা করা হত, ধর্ম-বুলি-বিহীন USSR তাদের প্রতি কী রকম মমতা দেখিয়ে সেটা মুছে ফেলার চেষ্টা করলেন। শুধু তাই বা কেন। USSR-এর অন্তর্গত কত আলাদী জাত, আলাদা সম্প্রদায় নিবিবাদে এক সঙ্গে আছে, নিজের নিজের আচারব্যবহার রুচিকৃষ্টি অনুসারে জীবন চালাবার বাধা পায় বলে শোনা যায় না । এপনকার যুদ্ধের ভাবট। যে ঠিক কী, সেটা যুদ্ধ শেষ হবার অনেক --দিন পর ছাড়া জানতেই পাখা যাবে না । হালের ৰাজে খবরের উপর নির্ভর করে আনাজী মন্তব্য প্রকাশ করতে যাওয়ায় কোনো লাভ নেই । অহিংসার সব অন্ধিসন্ধি ঠিকমতো বুঝে-ওঠাই দায়। অষ্ঠায়ের sv○
পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/১৮৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।