কুলক্ষণ মরণদশার কোনো লক্ষণ দেখা যায় কিনা, সেটা অমুসন্ধানের বিষয়। সে লক্ষণগুলি কী রকম । কুলক্ষণ সমবায়ীরা নেতাদের সদুপদেশকে জীবনযাত্রার পাথেয় না করে, যদি তাদের মূতি বা ছবি ফুল, বাতি, ধূপধুনো দিয়ে পুজো করতে শুরু রূরে, তাদের মধ্যে কে বড়ো তাই নিয়ে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া गोश्राङ्ग– পরম্পরের প্রতি আন্তরিক দরদ, পরস্পরের উন্নতির জষ্ঠে সত্যিকার আগ্রহ–এই দিয়ে সমবায় থাড না রেখে, অবস্থার পরিবর্তন অনুসারে পদ্ধতির বদল না করে, যদি কোনো একজনের বা এক সময়ের তৈরি নিয়মকানুনকে যায়-প্রাণ থাকে-প্রাণ অটুট রাখাই সার ধর্ম বলে মানতে আরম্ভ করে, জপে-মোচড়ানো মনের মধ্যে স্বাধীন চিস্তার পথ রুখে দেয়— “যা করেছি খুব করেছি আর দরকার নেই” এই বলে যদি সন্তোষ শাস্তি এই রিপু-ভাইদুটির পাল্লায় পড়ে উপর থেকে প্রেরণা আসার রাস্তা খোলসা না রাখে ; কিংবা “আমরা যা দেখিয়েছি, পৃথিবীর আর কেউ তা পারেনি, পারবে না" এই দম্ভের মোহ আলসে মেরে গিয়ে নতুন বিস্তে লাভের, নতুন উদ্ভাবনের চেষ্টায় খতম দিয়ে বলে থাকে— এ রকম কুলক্ষণের কোনো একটি প্রকাশ পেলে USSR-এর বাড় ফুরিয়েছে, সে নাৰী-মুখে এসে পড়েছে, বুঝতে হবে। প্রকৃতির ঠেলঠেলির মধ্যে উপরে উঠতে না থাকলে নিচে পড়ে যেতে হয়, নিশ্চিত্ত হয়ে মাঝামাঝি বিরাম লাভের উপায় নেই। >ly&
পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/১৮৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।