চাষার গল্প আতঙ্কে সারা । যারা টিকে রইল তারা শেষে পুলিসের গুতোর চোটে ফের বাডিমুখে হল। আর অনেকে গেল, পথে ভিক্ষে করতে করতে, প্রদেশের পর প্রদেশ ছাড়িয়ে, সেই সাইবারিয়ায়। বাডিতে থাকলে তে। ঠায় মরণ, যে দেশে খাটবার লোকের অভাব, সেখানে যদি খোরাক জোটে । কারে কারে কাজ জুটল বটে, যাদের কপালে তা না হল তার ফিরতি বেলা রাস্তার ধারে হাড় ক’খানি রাখল ; দু’দ্ধবার রক্ত-মাংসের শরীরে ঐ অফুরন্ত পথ কি খালি-পেটে পার হওয়া যায় । গবর্নমেণ্টের রিপোর্টে আক্ষেপ প্রকাশ হল, “প্রজাদের এ কী দেশছাড়া পাগলামিতে পেয়েছে। জমিদারদের যে সর্বনাশ, ঠিকে লোক দিয়ে চাষ করাতে হলে খরচ বেড়ে যাবে কত ।” ভেবেচিস্তে সাব্যস্ত হল, “গ্রামে গ্রামে অক্ষমদের জন্তে দাও কিছু দানা পাঠিয়ে।” উকিলে আমলায় তা থেকে নিজের নিজের তোলা নেবার পর, রাজ্যের আবর্জন দিয়ে ওজনে পুরিয়ে যা পৌছে দিলে সেটা এত রকমের মিশল যে, দানা ছাড়া কোনো নামের মধ্যে তাকে আনা যায় না ; আর পরিমাণে এত কম যে তাতে জন-পিছু দিনে এক ছটাকও হয় না । সক্ষমদের পক্ষে হুকুম হল আলাদা, "ভিক্ষে বৃত্তির প্রশ্রয় দিলে চরিত্র নষ্ট হবে। তৈরি করো কতকগুলো রেলের রাস্তা, তাদের সকলকে কাজে লাগিয়ে দাও।” কিন্তু কুলির সর্দার অভিযোগ জানাল, “হুজুর, এ সব নিখাকী মজুর নিয়ে করব কী। পায়ে বল নেই, টলতে টলতে আসে ; হাতে জোর নেই, কোদাল ওঠেই না।” উত্তর এল, “বটে, কাজে ফাকি দেবার ফন্দি। বদমাশগুলোকে సివి
পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/১৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।