মাটির কথা সারালো আস্তরণ বিছিয়ে দেয়, যাতে ক’রে বর্ষার জল তাড়াতাড়ি শুখোনো বন্ধ হয়ে যায়, তখন তার উপর অন্ত গাছের বীজ লাগার সুযোগ পায়, শিকড় নামায়, গাছিয়ে ওঠে, শেষে বাকড়া পাতার আওতায় মারে সেই আগেকার ঘাসের দলকে । ক্রমশ বড়ো গাছের জঙ্গল ফলাও হলে আবহাওয়া বদলে গিয়ে মরু উদ্ধার পেয়ে যায়। মরু-দমনের ইতিহাসটা যদিও দু' কথায় ব’লে ফেলা গেল, কিন্তু আসলে ঘটনাগুলো পর পর ঘটতে সময় লেগে যায় যুগপরিমাণ । মামুষের কিন্তু অত তর সয় না, নিজের আয়ুর মধ্যে কাজ সারতে না পারলে ফলটা ভোগে আসবে কার ? তারো উপায় আছে । রুশের মরু-রেল-লাইনের কোনো কোনো স্টেশনে দেখা যায়, কুলীরা যায়ীদের কাছে কত রকম বিদেশী ফল তরকারি বিক্রি করতে আনে । তবে কি সেখানে কোনো কৃষি তত্ত্ববিদের আস্তানা ?—না, সেখানে যাদুকরও থাকে না। রেলের সঙ্গে সঙ্গে কি না জলও চ’লে এসেছে, তাই স্টেশনের কর্মচারীরাই ইচ্ছেমতো ফল ফলাতে পারে। মরুর চেহারা তড়িঘড়ি ফেরাতে, মামুধের উপযোগী করে তুলতে জলই সহায়। মহাভারতের যুদ্ধ আঠারো দিনে কাবার হয়েছিল। ইংলণ্ডের ইতিহাসে একশ’ বছরের যুদ্ধেরও খবর আছে। মামুষে-মরুতে হাজার হাজার বৎসর ধরে যুদ্ধ চলেছে । সেদিন মধ্য-এলিয়ার বালির নিচে কতকগুলি ভাঙাচোরা জল-চলার বাধানো লহর বেরিয়েছে, যা একজন মার্কিন পণ্ডিত অনুমান করেন, দশ হাজার বছর আগেকার তৈরি। তখন তো যন্ত্রপাতি বড়ো একটা ছিল না, দুরের পাথর মজুরের হাতে পিঠে মাথায় করে এনে বসাতে হয়েছিল, তাতে কর্তাদের চাবুকের সাহায্যও তারা কিছু পেয়ে থাকবে। এমন আরো কত পুৱা-কীর্তির ኟፃ
পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/২৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।