আকাশের কথা করলেন—“এদের সবাইকে সভা করে বসানো হোক, নইলে কাজ এগোবে না ।” আমাদের মন-গড়া এ টেলিগ্রামের অপেক্ষা না করেই আলাদা বিদ্যের বিশেষজ্ঞ দলকে USSR এক সঙ্গে পরামর্শ করিয়ে কাজে হাত দিয়ে থাকেন। সে পরামর্শ সভা কী বুহৎ ব্যাপার। একটা বড়ো হলেও সবাইকে ধরে না। তাতে ক্ষতিই বা কী। তারা তো মুখে মুখে তর্ক করে না, যে-যার তথ্য সাজানো, যুক্তি দেখানো, আঁক কষা, সবি লিখে হয় ; শেষে নেতারা যে কাজের জন্তে যা দরকার তাদের রিপোর্ট থেকে সংগ্রহ করে ব্যবস্থা করেন। বিষয়মোহে জড়ভরত দেশে যেখানে জমির স্বত্ব এক পক্ষের, জলের স্বামীত্ব অপরের ; যেখানে একই নদীর কতকটা এক কতৰ্গর তাবে, বাকিটা ভিন্ন-এলাকায়, যে যার অধিকার নিয়ে মত্ত, কেও কাওকে পোছে না, কেও কাওকে রেহাই দেয় না ; সেখানে এমন সব-দিক-দশী কল্পনা করাই মুশকিল, কাজে আনা তো দূরের কথা । USSR-এর বিরাটরাষ্ট্রে র্তারা ক্ষিতিপতি, সিন্ধুপতি, প্রজাপতি সবই । ভতৰ্ণ-পাণ্ডা-সর্বমুখদাতা হয়ে তারা যেভাবে পতিধর্ম পালনে উঠে পড়ে লেগেছেন, তার তারিফ না করে থাকা যায় না। আকাশের কথা ঘর বলতে আমরা বুঝি, মাথার-উপর চাল, চার পাশে দেয়াল ; চীনের বলে মাঝের ফাকটাই আসল। আকাশ ফাক, তাই মহান । তাই বলে শুষ্ঠ বেগমকে ভূতের দলে ফেলার মানে কী হতে পারে। তাকে ভূতের খেলাঘর বললে বরং মানাত। ס\8
পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/৪৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।