পঞ্চভূতের বশীকরণ যারা গগনে বিহার করেন, তাদের মধ্যে আগে মনে উদয় হন স্বর্য— র্তাকে ধরে দেবতার দলে, তার রশ্মিকে ভূতের মধ্যে, যে ভূত দিয়ে প্রকৃতিমাতা প্রাণশক্তি গড়েন ; তার আজকালকার ছেলেরাও পিছপাও নয়, তারা এ ভূত দিয়ে তৈরি করে কলের শক্তি। স্বাভাবিক অবস্থায় যাকে বলে জলের ভাপ, চাপের মধ্যে জন্মালে তাকেই বলে স্ট্রম, সে অবস্থায় তাকে জল থেকে বার করতে তাপও লাগে বিস্তর। বিজ্ঞানীদের চেষ্টা চলেছে, আতলী কাচের ভিতর দিয়ে গুচ্ছের স্বৰ্যকিরণ জড়ো করে তাদের মিলিত তাতে জলকে স্ট্রমকরা। স্ট্রম একবার হলে তা দিয়ে ইচ্ছেমতো যে-কোনো রকমের কল চালিয়ে নেওয়া যায়, এমন কি, সাহারার মধ্যিখানে বসেও ববফ জমানো যায়,— যেমন তপস্তার ঝণজে সাধক বাসনা ঠাণ্ড করতে পারেন। স্বর্যের পরেই মনে পড়ে চন্দ্রকে । তিনি নিস্তেজ হলেও নেহাত শক্তিহীন দেবতা নন। সমুদ্রের জলকে টান মেরে পৃথিবীর উপর দিয়ে জোয়ারের ঢেউ দুবেলা ঘোরান, সেই সঙ্গে বায়ুমণ্ডলেও বাতাসের স্রোত চালান । বায়ু তো দেব-কে-দেব, ভূত-কে ভূত। অদৃপ্ত হলে কী হয়, পবনদেবের দাপট যে খেয়েছে সে তাকে ভুলতে পারে না । বায়ুর ভৌতিক শক্তিকে মানুষ পাল তুলে নৌকো জাহাজ চালাবার কাজে চিরকাল খাটিয়ে এসেছে , তার উপর, হালে, চাকার মতো পাখা তুলে, পাঁচ রকম কলের মধ্যে, জলতোলা কল তা দিয়ে চালানো হয়ে থাকে, যার সাহায্যে কুয়োর উপকার অনেক গুণ বাড়িয়ে তোলা যায়। আর আছেন, মেঘের গায়ে যিনি থেকে থেকে চমকান,—সেই সৌদামিনী। তিনি দেবীও নন ভূতনীও নন । তার মানে তার সঙ্গে আমাদের পূর্বপুরুষদের ভালো রকম আলাপই ছিল না। এখন আমরা 88
পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/৪৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।