পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চভূতের বশীকরণ হিসেবে এটা অবশু উলট-বুঝা-রাম গোছের হল, কিন্তু অতিবৃষ্টি বন্ধ করার উপায়ও তো ফেলনা নয়। ক্রমে যুদ্ধের দায় ঠেকে এরোপ্লেন থেকে গাঢ় ধোয় উড়িয়ে নিজপক্ষের সেনাকে শক্রর চোখের আড়াল করার ফন্দি আবিষ্কার হল । সন্মোহন বাণ মেরে অজুন যেমন কৌরব মহারথীর দলকে ঘুম পাড়িয়েছিলেন, তেমনি আকাশ থেকে বিষাক্ত ধোয়া ছেড়ে বিপক্ষের চিরনিদ্রার ব্যবস্থাও হতে লাগল। এই ধোয়া-চালানো কেরামতির জুবিধে পেয়ে USSR তাকে কাজে লাগাবার উদ্যোগ করলেন— মানুষ মারতে নয় লোকের হিতার্থে। বিজ্ঞানীর উপর হুকুম হল, “যাও এরোপ্লেনে, অপকে খুশি করে ক্ষিতির জন্তে বকৃশিশ নিয়ে এলো।" তখন চললেন বিজ্ঞানী, মেঘ-কণাদের জোড় মেলাবার বন্দোবস্ত করতে | এরোপ্লেন যখন মেঘরাজ্যে প্রথম চক্কর খেল, তখন সব শুখনো, মেঘের জল মেঘেই লেপ্টে রইল, না লাগল প্লেনের বা চালকের গায়। বিজ্ঞানীর সঙ্গে ছিল বিপরীত বৈদ্যুৎ-ভরা ধোয়া ওড়াবার সরঞ্জাম ; সে ধোয়া ছাড়ার পর, ইলুলে গুড়ির ছিটে দিয়ে মেঘ তাকে আশিসূ জানাল। শেষে তিনিও নেমে এলেন, আর রীতিমতো এক পসলাও বর্ষাল— বেশ যেন স্বাভাবিক বৃষ্টি । শাস্ত্রে বলে মুখের পর দুঃখ চাকার মতে ঘুরপাক খায়। স্থটির কত রকম জিনিস চাকা ভাবে ঘোরে, ভাবলে চমৎকার লাগে । ধরো না কেন, নিশ্বাসের সঙ্গে জন্তুরা হাওয়া থেকে অক্সিজেন টেনে নেয়, প্রশ্বাসের সঙ্গে ছাড়ে অক্সিজেন-কার্বন-মেশানে। বাষ্প । তাই থেকে গাছগুলো কার্বন খেয়ে নিয়ে পরিষ্কার অক্সিজেন হাওয়ায় ফিরে দেয় । সেজষ্ঠে এই দুই পক্ষ পাশাপাশি বাস করলে থাকে ভালো । 8りア