পাতালের কথা পাহাড় যেন জলস্থল আকাশপাতাল সবেরই বাইরে, অথচ সকলের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠত। পাতালে ভিত, আকাশ ফুড়ে উঠেছে মাথা, প্রকাও ভালুকের মতে, পিঠে জঙ্গলের রোয় নিয়ে ভূঁইয়ে হাতপ ছিতরে সে উপুড় হয়ে আছে। নিজের উপর মেঘের বর্ষণ টেনে নিয়ে সেই জল সমুদ্রের দিকে গড়িয়ে দিচ্ছে, সেই সঙ্গে গা-ধোয়া মাটি দিয়ে নিচের সার-চোষা মাঠগুলোকে তাজা রাখছে। সমুদ্রকে রত্নাকর বলে বটে, কিন্তু রত্বের ভার নিয়ে কোনো ডোবাজাহাজের ভিতর থেকে ছাড়া, সমুদ্রতল থেকে রত্ন উদ্ধারের খবর তো শোনা যায় না। আসল রত্নাকর হল পাহাড—তার পেটের ভিতর, ছাল-তোলা পিঠের উপর, আশপাশের খাজে-গর্তে যত রত্বের কঁাড়ি । আজকাল, অবশু, পাচ-রঙা পাথর হাতে পায়ে গলায়, ফেঁাড়া নাককানে ঝুলিয়ে “আমি কী হমু” গোছের হাবভাব দেখাবার দিন চলে যাচ্ছে। গবর্নমেন্টের কৃপায় মুদ্রার কাজও সোনা রুপো ছেড়ে কাগজ দিয়ে সারা হচ্ছে। তবুও নানা কাজের ধাতুগুলোকে রত্নই বলতে হয়। আধুনিক হিসেবে এগুলি ভূতও (ভৌতিক পদার্থের মৌলিক উপাদান) বটে। মাত্র পাঁচ ভূতের দিন আর নেই, বিজ্ঞানীরা এ পর্যন্ত ১২টা ভূত খুঁজে পেয়েছেন, ক্রমে আরো হয়তে পাবেন । তার মধ্যে চলতি কথায় যাকে ধাতু বলে তা তো আছেই, এমনও অনেক জিনিস আছে যাকে ধাতু বলা হয় না ; তাছাড়া আছে রেডিয়াম জাতীয় পদার্থ, যাদের পরমাণু ক্রমশ তেজ হয়ে ফেটে ফেটে বেরিয়ে পড়ে, যেজন্তে তাদিকে CIfTES-CSF (radio-active) RT KI 6:S
পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/৫১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।