না; ও কিসের ঠেলায় ওরা সার বেঁধে আকাশ ফুঁড়ে উঠল, ওদের গায়ে কিরকম অক্ষরে পৃথিবীর ইতিহাস টোঁকা আছে, সে লিখন কেমন ক’রে পড়ে,— শিক্ষার আসনে যিনি বসেন তাঁকে এমন কত কী খবর যোগাতে হয়।
মানুষের শিক্ষা বল, চেষ্টা বল, তার প্রথম উদ্দেশ্য লক্ষ্মীলাভ। 'প্রথম' বলছি কেন, না, সচ্ছলতার ব’নেদের উপর দাঁড়াতে না পারলে, আরো উপরের দিকে হাত বাড়ানোরই যো থাকে না। কিন্তু উদ্দেশ্য যাই হোক, তাঁকে পাবার লালসে লোকে যে-রকম ঠেলাঠেলি কাড়াকাড়ি বাধায়, তাতে লক্ষ্মীকে দেশছাড়া কেন, পৃথিবীছাড়া করার যোগাড় করেছে। দোষ শুধু এ যুগের নয়, মন দিয়ে দেখলে দেখা যায় যে, কোনো দেশে কোনো কালে লক্ষ্মীকে দুস্থির হয়ে তিষ্ঠতে দেওয়া হয়নি। সাধে চাঞ্চল্যরোগ তাঁর ধাতে ব'সে গেছে।
ব্রাহ্মণ প্রাধান্যের সত্যযুগে তাঁদের সাধনায় পাওয়া অধ্যাত্মতত্ত্ব আজও জগতের সম্পদ ব'লে মানা হয়। কিন্তু লক্ষ্মীকে আটক রাখার কথা তাঁরা ভাবেননি, তাই তাঁদের প্রচার-করা বাণী চিদাকাশেই উড়ে বেড়াচ্ছে, কর্মদেহ নিয়ে ধরাধামের লক্ষ্মীশ্রী বিধান করে উঠতে পারল না।
ত্রেতার ক্ষত্রিয়রাজারা একমাত্র ভারতে প্রকট হননি পৃথিবীময় বিকটভাবে তাঁরা দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। “পুরুষসিংহ” উপাধি পাবার যোগ্যপাত্র হলেও, সাম্রাজ্যনেশায় তাঁদের উদ্যোগ বরাবর এমনি উদ্ভ্রান্ত যে, হতভাগা প্রজাদের শ্রীসম্বৃদ্ধি বারে বারে নষ্ট বৈ পুষ্ট হতেই পেল না।
এক রকমের বাহাদুরি দেখিয়েছেন দ্বাপরের বৈশ্য কর্তারা, য়ুরোপে ধারা বিরাজ করেন। ওঁদের লোভ তো রাবণের চুলোর মতো জ্বলতেই