পঞ্চভূতের বশীকরণ সমজদার হয়তো এ সব আওয়াজ শুনে, আকাশে কিভাবে মেঘের চাপগুলো সেজে আছে তার একটা ছবি পেতে পারে। একই ভূধাক্কার কাপুনি সেই রকম দফে দফে আসে,—যন্ত্রে প্রথম পাওয়া যায় যেগুলি সোজাসুজি সব চেয়ে ছোটো পথে এসেছে ; পরে আগে যেগুলি পৃথিবী ঘুরে উলুটো দিক থেকে পৌছয় ; শেষে হাঞ্জির হয় যেগুলি প্রথম একপত্তন নিচের দিকে তলিয়ে গিয়ে পরে পাতালের কোনো পাথরে ঠেকে ঠিকরে উপরে ফিরে আসে । শেষের এই কাপুনিগুলি পাতালের অনেক খবর এনে দেয়। তবে কি তলার অবস্থা জানতে হলে ভূমিকম্পের আসার আশে ই৷ করে বসে থাকা লাগবে । ভা কেন। মাটিতে গত করে তার ভিতর বারুদ বা ডাইনামাইট ফাটালে তো ভূমিকে যখন ইচ্ছে যত ইচ্ছে কঁাপিয়ে তোলা যায়। বারুদ ফাটিয়ে লাগাও যন্ত্র, ওস্তাদের কাছে ধরে দা ও তার লেখা, সে বলে দেবে মাটির নিচে কোথায় কত দূরে কী রকম ধরনের পাথর चोटक्क । আবার আমাদের ধুয়োয় এসে পড়া গেল। বৈজ্ঞানিক বিদ্যে তো USSR-এর এক-চেটে নয়, তবে কেন এমনভাবে কথা হচ্ছে যেন এ বিষয়ে তাদের কিছু বিশেষত্ব আছে। o চলতি তন্ত্রে রাজা-প্রজা ধনী বিজ্ঞানী সবাই কাজ করে নিজের নিজের লাভের আশায় । জমির মালিক প্রায়ই বিলাসী, বিজ্ঞান সম্বন্ধে উদাসীন, অপরকে খাটিয়ে নিতে মজবুত, পারিশ্রমিক দেবার বেলায় কষা। বিজ্ঞানীও নিজের বহু কষ্টে পাওয়া বিদ্যের ছায্য মূল্য না পেলে তাকে ছাড়তে চান না, পেটেই রেখে দেন। যারা নিলোভের বড়াই করেন, আমাদের সেই তাপস ফকিররাও ওষুধবিমুখ পেলে যে রকম Ψ) ο
পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/৬০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।