পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মনপ্রাণের উৎকর্ষ তখনো শেখেনি। খিধের জালায় কী করে, পাথরের অস্ত্র বানিয়ে তা দিয়ে জীবজন্তু মেরে খাওয়া অভ্যেস করতে হল। কিন্তু মাংস খাওয়া নরের দেহমনের উপযোগী না হওয়ায় মামুষের শরীর হয়ে দাড়াল ব্যাধিমন্দির । সে বিষয়ে সচেতন হয়ে আজকালকার পাশ্চাত্ত্য ডাক্তারেও বলতে আরম্ভ করেছেন যে, মাংস খাওয়া মামুষের পক্ষে দরকারী তো নয়ই, উপকারীও নয়। কৃষ্টির ফলে বুদ্ধিবৃত্তি শোধন হলে মানুষ রাক্ষস-পিশাচের নকল না করে, নিজের আক্কেল মতো চলে রক্তারক্তি কাণ্ড ত্যাগ করবে—এই আশায় ভর করে এখানে নিরামিষ আহারের আলোচনাই চলুক। গাছের সঙ্গে মামুষের যে খাদ্য-খাদক সম্বন্ধ সেটা নেহাত মন দাড়ায় নি। ফলের বেলায় তো কথাই নেই, ওটা গাছ নিজের গরজে মিষ্টি রসের ভেট সমেত মামুষের হাতে তুলে দেয়, সঙ্গে থাকে এই মাত্র আবদার— “বংশ রক্ষার উপায় করে দিয়ে ।” ফল ফলাতেই তো গাছতলার আশপাশের মাটির সার ফুরিয়ে আসে, সেই মাটিতে সোজাস্বজি বীজ পড়তে দিলে নতুন চারার সঙ্গে পুরোনো গাছের খোরাক নিয়ে কড়াকড়ি লেগে যাবে। তাই দূরের তাজ মাটি পর্যন্ত বীজ পৌছে দেবার জন্তে সচল জীবের সাহায্য নইলে লয় । এদিকে, গাছের লে নীরব আবেদন মানুষ নিজের গরজেই মঞ্জুর করে, গাছের মাথায় হাত বুলিয়ে মিষ্টান্ন ভোজনের ব্যবস্থা করেছে। তাই দেশে দেশে মানুষের যত্নে-করা যত্নে-রাখা ফলবাগানের ছড়াছড়ি । কিন্তু হায়রে কান পদ্মলোচন । সুফলা বাংলার ফলবাগান Cकां६iग्न ! যাই হোক, প্রকৃতির ব্যবস্থার মধ্যে মানুষে-গাছে ফলসংক্রান্ত ԵԱ)