পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অtহারের সমস্যা তো লাগল, হেলায় কিছু বা বিশেষ ভাবে লাগিয়ে দেখা হল, বাচল তো বাচল নয় তো নতুন মাটিতে অচল বলে ছেড়ে দিলে। সার দেওয়ার ব্যাপারও সেই রকমই। হাতের কাছে যে সার আছে, বা জোটে, তাই গাছের গোড়ায় দিয়ে দেখা হল, ফল না পেলে খেয়াল ছুটে গেল, ফল পাওয়া গেল তো বাহাদুরি নিলে। USSR-এর উদ্যম বল, অধ্যবসায় বল, ধারাবাহিক চেষ্ট বল, সে সব অন্ত ধরনের। তারা গাছের চরিত্রই বদলে ফেলতে বসেছে। ভারতবর্ষের রোদে-মানুষ-হওয়া ব্রহ্মচারী, সে যদি তিব্বতের বরফে গিয়ে সাধনায় বসতে পারে, শীত দেশের লড়াক্কে জাত যদি ধনের লোভে আফ্রিকায় বালির তাতে আডড গাড়তে পারে, তবে ওস্তাদের মতে। ওস্তাদের হাতে পড়লে গাছই বা নিজের অভ্যেস বদলাতে শিখবে না কেন । তবে গাছকে শেখাতে হলে অশ্রান্ত অমুসন্ধান চাই, অফুরন্ত পরীক্ষণ চাই, অদম্য উৎসাহ চাই, সকলের উপর সমবেত চেষ্টা চাই। USSRএর এই সব আছে বলেই এতকালের কৃষ্টির বাড়াও র্তারা অনেক কারদানি দেখাতে পারছেন। মাথা যতই খাটানো হোক, হাজার পড়াশুনা করা হোক, তাতেই মাম্বষের পূর্ণ বিকাশ হয় না, আমুরাগ্য-বিনা আনন্লোক লাভ হয় না, লে বিষয়ে অঙ্গিরা ঋষি প্রকারাস্তরে সাবধান করে দিয়েছেন। USSRএর অনুরাগের কী পরিচয় পাওয়া যায়, তা পরে দেখা যাবে। কিন্তু যিনি যে-লোকের আকাঙ্ক্ষা করুন না কেন, আগে ইহলোকের অল্পসংস্থান আবশ্বক। সেই উপদেশ রাজর্ষি জনক হাতে-লাঙলে দিয়ে গেছেন। সে সনাতন দৃষ্টান্ত আধুনিক প্রণালীতে USSR কেমন ভাবে বিস্তার করছেন, তারি কিছু কিছু গল্প এই পালায় করা যাচ্ছে । も。