ভণিত। আছে । সে-লোভের খোরাক জোগাবার কাজে ওঁরা ব্রাহ্মণের বিজ্ঞান, ক্ষত্রিয়ের বীরত্ব, ছটোকেই জুড়ি জুতে লাগিয়ে রাখতে পেরেছেন। মাঝে মাঝে যুদ্ধের যে-আগুন জলে ওঠে তার ঝলসানি খেয়েও ওঁদের ইশ হল না, আসছে বারের অগ্নিকাণ্ডে পিলপিল করে বীপ দেওয়াটা বাকি। ইতিমধ্যে গো-বেচারীর আড্ডা যেখানে যত ছিল, তা লুটপাট করে এক একটি কুবের হয়ে উঠলেও, লক্ষ্মীলাভের হিসেবে ওঁদের নাম খরচের খাতায় লিখতে হয় । রইল শূদ্র, যদিকে গষায় বলে শ্রমিক । ঘোর কলি ঘনিয়ে আসায় এবার লক্ষ্মী-আহবানের পালা পড়েছে তাদের । গত ক'বার অবতার হয়েছেন এক- একটি করে জীব, নৃসিংহের বেলা না হয় জোড়া জীব । গতিক যেরকম, এবার বুঝি মানবসংঘের বৃহৎ কলেবরে ভগবান অবতীর্ণ হতে ইচ্ছে করছেন। এবার শ্রমিকের রাজত্বের পালা। ধনীর দিন ফুরিয়ে আসার আভাস চারিদিকেই পাওয়া যাচ্ছে। রুশদেশে শ্রমিক-প্রধান তন্ত্র দেখতে দেখতে গড়ে উঠছে। হয়তো সেখানে স্বয়ং কলুকি এসে পড়েছেন বা,-সেই USSR• এর মূর্তি ধরে, যাদের সংঘবদ্ধ উদ্যমে পুরোনো মানবসমাছের যত আধ-মরা সংস্কারবিকার আচারবিচার, সমস্ত কৌটিয়ে ফেলে আগামী সত্যযুগের জমি পরিষ্কার করে রাখা হচ্ছুে । সে যাই হোক, এইটুকু ঠিক যে, লক্ষ্মীকে অচলা করে রাখতে না পারলেও, USSR তার প্রসাদ বিতরণের এলোমেলো-পনা কাটিয়ে ওঠার হিকমত বার করেছেন । ধাত যাবে কোথায়, এদেরও এলাকার মধ্যে ১ ইউ এস এল আর রুশ-মহাদেশের সমবেত সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রসংঘ । q
পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।