মনপ্রাণের উৎকর্ষ তর সয় না। ঠিক জিনিসটি যেখানে পাওয়া যাবে, বেছে বেছে সেখানে লোক পাঠাতে হবে। মতলবটা তো ভালোই। তবে কোথায় কী আছে সেখানে গিয়ে না দেখে আগে থাকতে আন্দাজে লোক পাঠানো, সে কী রকম। এ হেঁয়ালিতে বিজ্ঞানী ডরায় না । গণৎকার হিসেবে বিজ্ঞানীর বেশ হাতযশ আছে । আগে তো বুধ মঙ্গল শুক্র বৃহস্পতি শনি, এই পাঁচটি বই গ্রহ জানা ছিল না। শনির চালচলন ঠিক অয়নমতো হচ্ছে না দেখে জ্যোতিবিদ অনুমান করলেন, সে আরো দূরে কোনো অজানা গ্রহের টানে না পড়লে এমন গতিভ্রম হয় না ; আকাশের কোন খানে সে গ্রহের দেখা পাওয়া উচিত তাও গুনে ঠিক করলেন ; তার পর সেদিকে দূরবীন যেমন তাক করা, অমনি বরুণ ( uranus ) গ্রহ ধরা পড়া। ক্রমশ এই প্রণালীতে খোজ করে দূরে কাছে আরো কত গ্রহ বেরল। তেমনি যত রকম মৌলিক পদার্থ জানা ছিল সেগুলিকে পরমাণুর বাধুনি অনুসারে ধাপে ধাপে সাজাতে গিয়ে, রসায়নবিদ দেখলেন এক একটা ধাপ ফাক থেকে যায়। সে ফঁাকে বসাবার মতো পদার্থ উপস্থিত না থাকলেও, নিশ্চয়ই পাওয়া যাবে ভরসা করে খোজ করায় নতুন নতুন ভূতের দেখা পাওয়া গেল। উদ্ভিদেরও সব শ্রেণীভাগ করা হয়েছিল। " নীল গোলাপ কেউ খুঁজতে বেরয়নি, কারণ শ্রেণীর মধ্যে তার ফণক ছিল না ; কিন্তু হলদে ফুলের মটর রুশে না থাকলেও, শ্রেণীতে তার ফাক থাকায় সেখানকার বিজ্ঞানী মনে জানেন কোথাও না কোথাও পাওয়া যাবে। আমরা দেখে জানি এ দেশেই পেতে পারেন। কিন্তু ফুলের বাগান করার জছে তো USSR ব্যস্ত হননি ; তারা যে, ৭২
পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/৭২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।