শ্রেষ্ঠের তল্লাশ শেষে এক কাফিরের দেখা পেয়ে, তাকে কিছু বকশিশ কবলে তাকে পথ দেখাতে রাজি করানো হল। তাও সে এক গ্রামের কাছাকাছি নিয়ে গিয়ে দে-পিট্রান—আর এগোতে সে সাহস পেল না। পাহাড়ের ফাকে ফঁাকে গায়ে গায়ে গ্রাম বল নগর বল, যেসব ছোটো ছোটো বসতির মধ্যে বিজ্ঞানীর দল অবশেষে পৌছলেন সেগুলি অপরূপ—যেন বহুরূপীর দেশ । * সেখানকার লোকগুলোর কত ছাদের চেহারা,—কেউ বা ফরসা কটা চুল-দাড়ি ; কেউ বা কাফরীর মতো কালো, চুল কোকড়া। আর কত ঢঙের পোশাক,—কারো ফুলো পাজামা, কারো কষা ইজের ; কারো গায়ে আলখাল্লা, কারো খাটো কুতর্ণ, কারো বা পরনে আস্ত ছাগলভেডার চামড । ভাষাও সেই মতে রকমারি,-কেউ স্বর্যকে বলছে আফতাব, কেউ য়েল্মার, কেউ বা স্বন। কোনো গ্রামের লম্বাই চওড়াই নেই, কেবল খাড়াই, পায়রার খোপের মতো ঘরগুলো পাহাড়ের গা বেয়ে উঠেছে, এক এক ঘর পাহাড়ের মধ্যে এক এক গত, মাথার উপর একটু বারাও বার-করা। এমন আজব দেখু ভুঁই-ফুড়ে ওঠেনি,—এ হাল সেকালের গুণ্ডারাজাদের বিজয়কীর্তি। অম্বরীয় (Assyrian) যোদ্ধা থেকে আরম্ভ করে সিকন্দর (Alexander ) বাদশা, জঙ্গস খা, অনেকেই ভারতের ধনের লোভে হিন্দুকুশের পথ দিয়ে আনাগোনা করেছে, কত জাতের সৈন্তসামস্ত সঙ্গে নিয়ে। বিজয়ের মজা মারলেন তো কতৰ্ণর, হেজিপেজি দলবলের ক্লেশের একশেষ। তাদের মধ্যে অনেকে ফিরে যাবার যন্ত্রণাভোগ এডাবার জন্তে পাহাড়ের গুহাগহরের মধ্যে লুকিয়ে রয়ে গিয়েছিল। আম আশপাশের উপত্যকায় যেসব বুনো চাষী, তারাও অনেকে বিদেশী সেনার উৎপাতে পাহাড়ের ভিতর পালিয়ে ፃፉ
পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/৭৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।