মনপ্রাণের উৎকর্ষ এসেছিল। বর্বরজাতের যেমন হয়, নতুন কিছু নিতে জানে না ? অভ্যস্ত আচারবিচার আঁকড়ে, থাকে,—এরা সবাই সেই রকম থাকল কাছাকাছি, কিন্তু মিশল না, বদলাল না, এগোল না, এখন পর্যন্ত তখনকার নমুনা হয়ে রইল । পাহাড়ের ধাপে, স্রোতার ধারে ধারে, এদের যেসব ছোটো ছোটে। খেত কালে পাথুরে জমির উপর সবুজ-বুটির মতো দেখা দিল, সেগুলি বিজ্ঞানীরা যেরকম অনুমান করে এসেছিলেন, ঠিক তাই— রকম বেরকম গমে ভরা—নরম দানার, কড়কড়ে দানfর, গোল দানার, লম্বা দানার, কোনোটায় জল দেওয়া লাগে না, কোনোট উৎকট শীতে দানা পাকায় । আর সেখানকার হাটবাজারগুলো তো ফলতরকারির প্রদর্শনী বললেও হয়,—এত রকমের কাকুড় ফুটি খরমুজ তরমুজ ডালিম বেদান গাজর শালগম মুলো শাকসবজি,—জংলী থেকে আরম্ভ করে উৎকৃষ্ট জাত পর্যন্ত বাজারে পাশাপাশি রাখায় নিজের নিজের অভিব্যক্তির ধারা দেখিয়ে দিচ্ছে। বিজ্ঞানীরা আশ মিটিয়ে বস্তা বস্তা বীজ সংগ্রহ করলেন। বিজ্ঞানীর যত দল দেশে দেশে বেরিয়ে পড়েছিলেন, তারা শেষে যে-যার অহিংস্র-লুঠের ভার নিয়ে স্বস্থানে ফিরে এলেন । আফগানিস্থান থেকে ৭• ০•, পশ্চিম এসিয়া থেকে ১০ ০০০, মধ্য এলিয়া থেকে আগুস্তি, মাকিনদেশ থেকে আলুর যত জাত আছে, সব মিলিয়ে লাখো রকমের বীজ এসে হাজির ; সেগুলোকে ভিন্ন ভিন্ন মাটি আব-হাওঁয়ার প্রদেশে পরীক্ষার জন্যে চারিয়ে দেওয়া হল। যত্ন তদ্বিরের ক্রটি ছিল না, তবুও পরীক্ষায় পাস হল অল্পই,—যেমন এক জাতের গাছ বরফের তলায়ও বেশ বড়ো বড়ো আলু গজাতে লাগল, মেরুর ধার পর্যন্ত শালগমে কপিতে ছেয়ে গেল, নতুন নতুন গমের জাত এখানে ওখানে লেগে গেল—কিন্তু বেশির ভাগ হল ফেল। குை
পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/৭৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।