শ্রেষ্ঠের তল্লাশ কতক রকমের আয়েবের ওষুধ হতে পারে,—শুখনো মাটিতে জল আনা যায়, লম্বা দিনের অতিরিক্ত আলো ছাউনি দিয়ে কমানো যায়, লম্বা রাতের অন্ধকার বিজলি বাতি দিয়ে ঘুচিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু ওষুধের উপর নির্ভর করে জীবনযাত্রা চালানো মুশকিল, তার খরচও বেজায় ; উপযুক্ত অভ্যেসের জোরে শরীর রাখতে না শিখলে চলে না। অবশু বুড়ো-ধাড়িকে শেখানো যায় না, শিক্ষার ফল পেতে হলে ছাত্রকে 'কচি-বেলায় হাতে নিতে হয়। গাছকে শেখাবার বিষয়টা কী—শাস্ত্রে যাকে বলে তিতিক্ষণ—তার মানে শীত গৰ্মি, থিধে ভেষ্ট, যখন যা ঘটে, অম্লান বদনে বদর্ণস্ত করা। তা শেখাতে হলে গাছের বীজের জষ্ঠে ব্রহ্মচর্যাশ্রম গোলা দরকার,— করা হলও তাই। আশ্রম স্থাপন হল এক লম্বা চালা-ঘরে । তোডযোড়ের মধ্যে জলের চৌবাচ্চা, বালতি বর্ণঝরি কোদাল নিড়ানি দাড়ি-পাল্ল। আর বিশেষ করে তাপমান যন্ত্র ; আয়োজনের মধ্যে ইচ্ছেমতো ঘরটাকে ঠাণ্ড গরম আলো অন্ধকার করার বৈজ্ঞানিক সরঞ্জাম। এই আশ্রমে গমের বীজকে কিভাবে ঠাণ্ডা সওয়ার সাধনা করাল, তার রিপোর্টটা দেখা যাক । মাটিটাকে কুপিয়ে আলগা করে তাতে এক পত্তন বীজ পোতা হল । ঘরটাকে বরফের চেয়ে চার ডিগ্রী ঠাও করে রাখা হল। মাটির ঢাকার মধ্যে বীজগুলো গরম হতে না পায় সেজন্তে মাঝেমাঝে মাটি আঁচড়ে ঠাও হাওয়া ঢুকিয়ে দেওয়া হল। জলের ছিটে দিয়ে দিয়ে বীজকে তাজা রাখা হল । অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় জমে যাবার মতো হলে কাপড় ; চাপা দেওয়ার ব্যবস্থা হল। এ রকম কৃচ্ছসাধনের পর বসন্তকালে যে ११
পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/৭৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।