পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মনপ্রাণের উৎকর্ষ চোট গিয়ে লাগে না, তাই তার ফল সস্তানে বা বংশের ধারার মধ্যে পৌছয় না। - তা যেন হল, কিন্তু অস্তত বংশের যত রকম দোষগুণ, প্রত্যেক সস্তানে তা পায় না কেন। সে কতক বাপের দিক থেকে, কতক মায়ের দিক থেকে বেছে নেয় ; মা-বাপে যা দেখা যায় না এমন গুণও পায়,—এ রকম হয় কী করে । গোড়াকার কথা এই যে, যখনই স্ত্রীদেহে পুরুষদেহে জননকোষগুলি অর্ধাঙ্গ হয়, তখন থেকেই গুণের একটা বাছাই ঘটে, যার দরুন তাদের মধ্যে জননিকার সমান ভাগ-বাটোয়ারা হয় না। ঠিক কী রকম করে কী হয় বর্ণনা করার চেষ্টা করতে গেলে আলাদা করে দেহতত্ত্বের পাল! গাইতে হয়, তার অবসর তো এখানে নেই। তবে একটা কৌশল করা যেতে পারে। কথায় বলার চেয়ে অনেক সময় নকশা দেখিয়ে সহজে বোঝানে৷ যায়। তন্ত্রশাস্ত্রে যন্ত্র ব’লে একরকম নকশার সাহায্যে বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডের তত্ত্ব বোঝাবার প্রণালী আছে । অত বড়ো কথায় কাজ কী, একটা বাড়ি তৈরি করতে হলে কাগজের উপর রেখার ঘর কেটে, এখানে ওখানে চিহ্ন বসিয়ে কী রকম বাড়ি চাই তা রাজমিস্ত্রীকে বেশ বুঝিয়ে দেওয়া যায়,—যদিও মাটির তলায় থাকবে ভিত, উপরে উঠবে দেয়াল, কোথাও লাগবে ইট কোথাও কাঠ কোথাও লোহা,-আসলে-নকশায় চেহারার মিল কিছুই থাকবে না। সেই রকম একটা রূপক দিয়ে বংশধরদের মধ্যে গুণের যাওয়া আলার হেরফের বোঝাবার চেষ্টা করা যেতে পারে ; কিন্তু মনে রাখতে হবে, আসলের সঙ্গে রূপকের রূপের মিল থাকবে না, স্বক্ষ-খেলা সহজে স্পষ্ট করতে হলে স্কেল বদলে মোটামুটি দেখাতে হবে। ԵՀ