পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মনপ্রাণের উৎকর্ষ মিলিয়ে চললে ফরশ পরিবার দাড়িয়ে যাবে—সে কথা সবাই জানে। লাল গোরুতে সাদা গোরুতে জোড় মেলাতে থাকলে পর পর কতকগুলি লাল, কতকগুলি সাদা, কতকগুলি মাঝামাঝি রঙের বাচ্ছা হবে, তাও গুণে বলার প্রণালী বিজ্ঞানীরা বার করেছেন। পাহাড়ী শক্ত নাশপাতির সঙ্গে নিচের রসালে ক্ষীণজীবী নাশপাতি মিলিয়ে মজবুত অথচ স্বস্বাদ নাশপাতির জাত তৈরি হয়েছে। আবার কখনো বা উলটাে উৎপত্তিও হয়ে পড়ে ; তলায় মুলো উপরে কপি হবে আশায় দুই গাছ মেলাতে গিয়ে শিকড় হল কপির মতে, পাতা হল মুলোর । গাছের পুংকোষ থাকে ফুলের রেণুর মধ্যে, স্ত্রীকোষ থাকে ফুলের তলায় একটা বিশেষ আধারে । স্বাভাবিক অবস্থায় রেণু চালাচালির কাজ মৌমাছিতে বা অষ্ঠ পোকায় করে, তারা মধুর ঘটক-বিদায় পায়। মামুষের ইচ্ছেমতো জোড় মেলাতে হলে, তুলি দিয়ে রেণু তুলে নিয়ে স্ত্রীকোষের আধারে দিয়ে দিতে হয় । আমাদের দেশের সেকেলে ঘটকের পাত্ৰপাত্রীর লক্ষণ মিলিয়ে, বিয়ে দেবার উপযুক্ত কিনা ঠিক করে দিত। আজকাল গাছের ওস্তাদেরাও গাছের আবখ্যকমতো জাত তৈরি করার উদ্দেশ্যে লক্ষণ দেখে গাছের জোড় মেলায়। বিদায় হবার পর ঘটকের ভুল ধরা পড়লে সে থোড়াই কেয়ার করত, কিন্তু গাছের ওস্তাদ ফলোদয় না হওয়া পর্যন্ত কাজে লেগে থাকে। ভুলের পর ভূল হলেও সে দমে না, বার বার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এ-গাছ ও-গাছ সে-গাছ মিলিয়ে যা চায় তা পাবার চেষ্টা ছাড়ে না। দোষের মধ্যে এতে বডড সময় লাগে । বৎসরান্তে যতক্ষণ আবার ফুল না ফোটে, নতুন পরীক্ষায় হাতই দিতে পারা যায় না। জননকোষ বা তার ভিতরের জননিকার উপর বাইরের ঘটনার প্রভাব যে একেবারেই পৌঁছয় না, তাদের কোনো রকমেরই পরিবতন وعامb