ঈশাসংকট তেমনি আরো উপরকার এক শক্তি, যাকে সংঘশক্তি বলা যেতে পারে, সে জীবদের মধ্যে গুণকৰ্ম বিভাগ করে সমাজের মতে আরো বড়ো কলেবর রচনা করায়। এই সংঘশক্তির ক্রিয়াকলাপ অল্পের মধ্যে বুঝতে হলে পোকার ছোটো ছোটো সমাজের উপর নজর করলে সুবিধে হবে। সমাজ-বাধা পোকার মধ্যে উই, মৌমাছি, পি পড়ে, এরাই প্রসিদ্ধ। একদল প্রাণকোষে মিলে যেমন এক একটি উইপোকা গড়েছে, তেমনি একদল উইপোকা মিলে মাটির ছাল-ঢাকা সমাজ-কলেবর রচেছে, যাকে বলে উইঢিবি । সেই ঢিবি-গারদের অন্ধকারে নিজত্বহারা উইপোকারা যে রকমের জীবন কাটায়, তাতে ওদের সংঘশক্তিকে তামসিক বলতে হয় । জন্তুর চামড়া কেটে গেলে যেমন জৈবিক শক্তির হুকুমে রসরক্তের দৌড়োদৌড়ির চোটে জায়গাটা ফুলে ওঠে, রক্ত জমাট বেঁধে বাইরের খারাপ জিনিস কিছু ঢুকতে দেয় না, ভিতরে নানা কোষের ক্রিয়ায় নতুন চামড় তৈরি হয়, তেমনি উইঢিবির মাটির ছাল কোথাও ভেঙে গেলে, সেখানে লাল সাদা দু'রকমের উইপোকা ছুটে আসে, লালগুলি বাইরের পোকামাকড় ঠেকিয়ে রাখে, সাদাগুলি ভিজে এটেল মাটির ছোটে। ছোটো ডেলা এনে ছাল মেরামতে লেগে যায়। এখানেই সংঘশক্তি নিজেকে জানান দেয়। ভাঙা মাটির ফাকের ছুদিক থেকে জোড়ার কাজ চলে, শেষে ঠিক এক থামালে জোড় মিলে যায়। তবে কি এই চোখ-কান হীন সামান্ত পোকারা নিজের মধ্যে এরকম জটিল কাজের বিষয়ে পরামর্শ করতে পারে। এক বিজ্ঞানী সে কথা পরীক্ষা করার জন্তে একটা টিবিকে করাত দিয়ে এ-পার-ও-পার ফেড়ে কাটার ফাক দিয়ে উপর থেকে নিচে পর্যস্ত একটা টিনের চাদর চালিয়ে দিলেন, যার মধ্যে দিয়ে একদিক থেকে অন্যদিকে কোনো রকম S&
পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/৯৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।