পাতা:বিশ্বাস বিজয়.pdf/২০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

?为° বিশ্বাস-বিজয় । সেই ভদ্র ব্যক্তি বিজ্ঞানশাস্ত্র জানিতেন বটে, কিন্তু বড় ভাবুক ছিলেন না উাহার সহিত আচাৰ্য্যপত্নীর আলাপ ছিল এবং সেই নিমিত্তেই কিছু ভাবের উৎপাদক বা চিত্রকরদ্বারা পরিপূর্ণ সুইৎসরলণ্ডস্থ কোন বিষয় জিজ্ঞাসা না করিয়া, বিজ্ঞানানুসন্ধায়ীর উপযোগী প্রশ্ন উল্লেখ পূর্বক স্ত্রীজাতির বুদ্ধিনৈপুণ্য প্রকাশ করিয়াছিলেন। ভদ্র ব্যক্তি প্রসম্নের ঔৎসুক্য দেখিয়া ঈষৎ হাস্য করিয়া বলিলেন, “বন্ধো! গৃহভক্ত হইলেও বাঙ্গালিদের বিলক্ষণ কল্পনা শক্তি আছে ; এক্ষণই তাহার যথেষ্ট প্রমাণ পাইলাম । কিন্তু হায়! সেই শক্তির উপযুক্ত ৰূপ চালনা অতি বিরল। দেখ, তোমার মনে যে ভাব উদিত হইয়াছে, উহা কখনই আমার মনে হয় নাই । আমি জানি, ঐ সকল তুষারস্রোতঃ অবিচ্ছিন্ন তুষারারত স্থানহইতে উত্থিত হইয়াছে । আমার যত দূর স্মরণ হয়, বলিতে পারি, ঐ গ্লাসিয়ার তুষারমণ্ডিত আল্পসশিখরের বিস্তীর্ণ প্রদেশের পয়ঃপ্রণালীব্যতীত আমার মনে আর কোন ভাব উদিত হয় নাই। তুমি যেৰূপ বলিলে তাহাই সত্য । হায়, কি দুঃখের বিষয়! তোমার ইহা দেখিবার সম্ভাবনা নাই ।” অনন্তর তিনি আচার্য্যপত্নীর দিকে চাহিয়া কছিলেন, “ ঐ অদ্ভুত ব্যাপার দর্শনে লোকের সহসা এৰূপ বিবেচনা হয় যে, ঐ তুষাররাশি যে আর্দ্র প্রস্তরের উপর অবস্থিতি করে, তাহার উপর দিয়া পিছিলিয়া যায়। কিন্তু অনেক বিজ্ঞলোকে এই যুক্তির পোষকতা করিলেও, এক্ষণে উহা অগ্রাহ হইয়াছে । এখন অনেক বিজ্ঞ অনুসন্ধায়ী এডিম্বরার