পাতা:বিষবৃক্ষ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুত্রিংশত্তম পরিচ্ছেদ : পথিপার্থে Σ οώ. হরমণি জিজ্ঞাসা করিল, “একে কোথায় পেলেন ?” ব্রহ্মচারী সবিশেষ পরিচয় দিয়া বলিলেন, “ইহার মৃত্যু নিকট দেখিতেছি। কিন্তু তাপ সেক করিলে বাচিলেও বাচিতে পারে। আমি যেমন বলি, তাই করিয়া দেখ ।” তখন হরমণি ব্রহ্মচারীর আদেশমত, তাহাকে আর্দ্র বস্ত্রের পরিবর্তে আপনার একখানি শুষ্ক বস্ত্র কৌশলে পরাইল। শুষ্ক বস্ত্রের দ্বারা তাহার অঙ্গের এবং কেশের জল মুছাইল । পরে অগ্নি প্রস্তুত করিয়া তাপ দিতে লাগিল। ব্রহ্মচারী বলিলেন, “বোধ হয়, অনেকক্ষণ অবধি অনাহারে আছে। যদি ঘরে দুধ থাকে, তবে একটু একটু করে দুধ খাওয়াইবার চেষ্টা দেখ ।” হরমণির গোরু ছিল—ঘরে ফুধও ছিল। ভূধ তপ্ত করিয়া অল্প অল্প করিয়া স্ত্রীলোকটিকে পান করাইতে লাগিল । স্ত্রীলোক তাহ পান করিল। উদরে যুদ্ধ প্রবেশ করিলে সে চক্ষু উল্মীলিত করিল। দেখিয়া হরমণি জিজ্ঞাসা করিল, “ম, তুমি কোথা থেকে আসিতেছিলে গা ?” ংজ্ঞালব্ধ স্ত্রীলোক কহিল, “আমি কোথা ?” * ব্রহ্মচারী কহিলেন, “তোমাকে পথে মুম্যু অবস্থায় দেখিয়া এখানে আনিয়াছি। তুমি কোথা যাইবে ?” স্ত্রীলোক বলিল, “অনেক দূর ।” হরমণি । তোমার হাতে রুলি রয়েছে। তুমি কি সধবা ? পীড়িত। ভ্রভঙ্গী করিল। হরমণি অপ্রতিভ হইল। ব্ৰহ্মচারী জিজ্ঞাসা করিলেন, “বাছা, তোমায় কি বলিয়া ডাকিব ? তোমার নাম কি ? অনাথিনী কিঞ্চিৎ ইতস্ততঃ করিয়া কহিল, “আমার নাম সূৰ্য্যমুখী ।” y 8