ঘটুত্রিংশত্তম পরিচ্ছেন্ন : হীরার বিষবৃক্ষ মুকুলিত డిహి আমার পত্রাদি পাঠাইৰে।" দেওয়ান সেই সংবাদের প্রতীক্ষায় ব্রহ্মচারীর পর স্বাক্ষ্মমধ্যে যথাসময়ে নগেন্দ্র কাশীধামে আসিলেন । আসিয়া দেওয়ামকে সংবাদ দিলেন । , তখন দেওয়ান অস্তান্ত পত্রের সঙ্গে শিবপ্রসাদ ব্রহ্মচারীর পত্র পাঠাইলেন। নগেন্দ্র পত্র পাইয়৷ মর্শ্বাবগত হইয়া, অঙ্গুলিদ্বারা কপাল টিপিয়া ধরিয়া কাতরে কহিলেন, “জগদীশ্বর। মুহূৰ্ত্তজন্ত আমার চেতনা রাখ।” জগদীশ্বরের চরণে সে বাক্য পৌছিল ; মুহূৰ্ত্তজপ্ত নগেশ্রের চেতমা রহিল ; কৰ্ম্মাধ্যক্ষকে ডাকিয়া আদেশ করিলেন, “আজ রাত্রেই আমি রাণীগঞ্জ যাত্রা করিব—সৰ্ব্বস্ব ব্যয় করিয়াও তুমি তাহার বন্দোবস্ত কর।” কৰ্ম্মাধ্যক্ষ বন্দোবস্ত করিতে গেল। নগেন্দ্র তখন ভূতলে ধূলির উপর শয়ন করিয়া, অচেতন হইলেন । সেই রাত্রে নগেন্দ্র কাশী পশ্চাতে করিলেন । ভুবনসুন্দর বারাণসি, কোন মুখী জন এমন শারদ রাত্রে তুগুলোচনে তোমাকে পশ্চাৎ করিয়া আসিতে পারে ? নিশা চন্দ্রহীন ; আকাশে সহস্ৰ সহস্ৰ নক্ষত্র জ্বলিতেছে—গঙ্গাহৃদয়ে তরণীর উপর দাড়াইয়া যে দিকে চাও, সেই দিকে আকাশে নক্ষত্র –অনন্ত তেজে অনন্তকাল হইতে জ্বলিতেছে-- অবিরত জ্বলিতেছে, বিরাম নাই। ভূতলে দ্বিতীয় আকাশ —নীলাম্বরবৎ স্থিরনীল তরঙ্গিণীহাদয় : তীরে, সোপানে এবং অনন্ত পৰ্ব্বতশ্রেণীবৎ অট্টালিকায়, সহস্ৰ আলোক জ্বলিতেছে । প্রাসাদ পরে প্রাসাদ, তৎপরে প্রাসাদ, এইরূপ আলোকরাজিশোভিত অনন্তপ্রাসাদশ্রেণী। আবার সমুদয় সেই স্বচ্ছ নদীনারে প্রতিবিম্বিত—আকাশ, নগর, নদী,— সকলই জ্যোতির্বিবন্দুময় । দেখিয়া নগেন্দ্র চক্ষু মুছিলেন । পৃথিবীর সৌন্দৰ্য্য র্তাহার আজি সহ হইল না। নগেন্দ্ৰ বুঝিয়াছিলেন যে, শিবপ্রসাদের পত্র অনেক দিনের পর পৌঁছিয়াছে—এখন সূৰ্য্যমুখী কোথায় ? % ষটত্রিংশত্তম পরিচ্ছেদ হীরার বিষয়ক মুকুলিত যে দিন পাড়ে গোষ্ঠী পাকা বাশের লাঠি হাতে করিয়া দেবেন্দ্রকে তাড়াইয়৷ দিয়াছিল, সে দিন হীরা মনে মনে বড় হাসিয়াছিল । কিন্তু তাহার পরে তাহাকে অনেক পশ্চাত্তাপ করিতে হইল। হীরা মনে মনে ভাবিতে লাগিল, “আমি তাহাকে অপমানিত
পাতা:বিষবৃক্ষ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১১৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।