পাতা:বিষবৃক্ষ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাঠভেদ 〉Qや পৃ. ৫৫, পংক্তি ৩, “বৈষ্ণবী-সজ্জা ধরিয়াছি।” কথা কয়টির স্থলে ছিল— বৈষ্ণবী সজ্জায় সফল হইয়াছি। পৃ. ৫৫, পংক্তি ২৬, “তখন পারিষদেরা" হইতে পর-পৃষ্ঠার ১০ম পংক্তির “একবার এক দিকে” অংশটুকুর পরিবর্তে ছিল— আর একজন কোথা হতে গায়িল ;– আমার নাম হীরা মালিনী। মাতাল হয়ে বাচাল হলো, দেখিতে নারি আমি ধনী । দেবেন্দ্র জড়ীভূত কণ্ঠে বলিলেন, “বা ! তুমি ধনী কে ? ভূত না প্রেতিনী ?” তখন ঠুন ! ন! ঝনাত ! প্রেতিনী আসিয়া বাবুর কাছে বসিল । প্রেতিনীর ঢাকাই সাড়ী পর, হাতে বাজু বাল, কালোচুড়ী ; গলায় চিক, কণ্ঠমালা ; কাণে ঝুমকা ; কাকালে গোট ; পায়ে ছয় গাছ৷ মল। গায়ে আতর গোলাবের গন্ধ ভুরত্বর করিতেছে। দেবেন্দ্র প্রেতিনীর মুথের কাছে আলো ধরিলেন। চিনিতে পারিলেন না। চুপিং মদের ঝোকে বলিলেন, “বাবা, কোন গাছ থেকে ?” আবার পৃ. ৫৬, পংক্তি ১২, “পাঠা দিয়ে পূজো দেব—” কথা কয়টির পর “যাও বাপ ।” কথা দুইটি ছিল। পৃ. ৫৬, পংক্তি ১৩-১৪, “মদ্যপ স্ত্রীলোকটিকে.হাতে দিল” কথা কয়টির স্থানে छ्लि- _ মদ্যপ আগত স্ত্রীলোকের মুখের কাছে ব্রাণ্ডির গেলাস ধরিল। পৃ. ৫৬, পংক্তি ১৫, “নামাইয়া রাখিল ।” কথাগুলির পর ছিল— এবং মৃদুহাসি হাসিয়া স্বচ্ছন্দে দেবেন্দ্রকে জিজ্ঞাসা করিল – “ভাল আছ বৈষ্ণবী দিদি ?” পৃ. ৫৬, পংক্তি ১৬, “তখন মাতাল” কথা দুইটির পর ছিল— বলিল, “বৈষ্ণবী দিদি ও বাবা! ও গায়ের দত্ত বাড়ীর পেত্নী নাকি ? এই বলিয়া আবার পৃ. ৫৬, পংক্তি ১৭, “তাহাকে” কথাটির স্থলে “হীরাকে” ছিল। ২০, “তখন সে.ভাবিয়া বলিল,” কথাগুলির স্থলে “হাঁরা কহিল,” क्केिल । ● পৃ. ৫৭, পংক্তি ১০-১৭, “সে গোপনে উদ্যানমধ্যে তখন উঠিয়া পলাইল।” কথাগুলির স্থলে ছিল— মনে হীরার দৃঢ় প্রতিজা ছিল যে, জলে হউক, আগুনে হউক, সে অপরিহীন সতীত্বধৰ্ম্ম রক্ষা করিবে, রাখিয়া উন্মত্ত দেবেন্দ্রের মনের কথা জানিয়া যাইবে। হীর ভিন্ন এত সাহস আর কাহারও হইত না । ૨ ૦