ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ : তারাচরণ St " جصية এখন কমলমণি, সূৰ্য্যমুখী, নগেন্দ্র, তিন জনে মিলিত হইয়া বিষবীজ রোপণ করিলেন। পরে তিন জনেই হাহাকার করিবেন । نيو এখন বজরা সাজাইয়া, নগেন্দ্র কুন্দকে লইয়া গোবিন্দপুরে যাত্রা করিলেন। কুন্দ স্বপ্ন প্রায় তুলিয়া গিয়াছিল। নগেন্দ্রের সঙ্গে যাত্রাকালে একবার তাহ ੇ আসিল। কিন্তু নগেন্দ্রের কারুণ্যপূর্ণ মুখকাস্তি এবং লোকবৎসল চরিত্র মনে করিয়া কুন্দ কিছুতেই বিশ্বাস করিল না যে, ইহা হইতে তাহার অনিষ্ট হইবে। অথবা কেহ কেহ এমন পতঙ্গবৃত্ত যে জলন্ত বহিরাশি দেখিয়াও তন্মধ্যে প্রবিষ্ট হয়। ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ তারাচরণ কবি কালিদাসের এক মালিনী ছিল, ফুল যোগাইত। কালিদাস দরিদ্র ব্রাহ্মণ, ফুলের দাম দিতে পারিতেন না--তৎপরিবর্তে স্বরচিত কাব্যগুলিন মালিনীকে পড়িয়া . শুনাইতেন। এক দিন মালিনীর পুকুরে একটি অপূর্ব পদ্ম ফুটিয়াছিল, মালিনী তাহ আনিয়া কালিদাসকে উপহার দিল। কবি তাহার পুরস্কারস্বরূপ মেঘদূত পড়িয়া শুনাইতে লাগিলেন। মেঘদূত কাব্য রসের সাগর, কিন্তু সকলেই জানেন যে, তাহার প্রথম কবিতা কয়টি কিছু নীরস। মালিনীর ভাল লাগিল না—সে বিরক্ত হইয় উঠিয়া চলিল। কবি জিজ্ঞাসা করিলেন, “মালিনী সখি ! চলিলে যে ” মালিনী বলিল, “তোমার কবিতায় রস কই ?” কবি। মালিনী! তুমি কখন স্বর্গে যাইতে পরিবে না। . মালিনী। কেন ? কবি । স্বর্গের সিড়ি আছে। লক্ষযোজন সিড়ি ভাঙ্গিয় স্বর্গে উঠিতে হয়। আমার এই মেঘদূতকাব্য-স্বর্গেরও সিড়ি আছে—এই নীরস কবিতাগুলিন সেই সিঁড়ি। তুমি এই সামান্ত সিড়ি ভাঙ্গিতে পারিলে ন!—তবে লক্ষযোজন সিড়ি ভাঙ্গিবে কি প্রকারে ? o মালিনী তখন ব্ৰহ্মশাপে স্বৰ্গ হারাইবার ভয়ে ভীত হইয়া, আদ্যোপান্ত মেঘদূত শ্রবণ করিল। শ্রবণাস্তে প্রীত হইয়া, পরদিন মদনমোহিনী নামে বিচিত্র। মাল৷ গাথিয়৷ আনিয় কবিশিরে পরাইয় গেল। - -
পাতা:বিষবৃক্ষ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/২৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।