অষ্টম পরিচ্ছেদ : পাঠক মহাশয়ের বড় রাগের কারণ २b মগুলাংশের আকারে ঈষৎ স্ফীত, উজ্জল অথচ মন্দগতিবিশিষ্ট। স্বপ্নদৃষ্ট খামাঙ্গীর চক্ষুর এরূপ অলৌকিক মনোহারিত্ব ছিল না। সূৰ্য্যমুখীর অবয়বও সেরূপ নহে। স্বপ্নদৃষ্ট খৰ্ব্বাকৃতি, সূৰ্য্যমুখীর আকার কিঞ্চিৎ দীর্ঘ, বাতান্দোলিত লতার স্যায় সৌন্দৰ্য্যভরে ফুলিতেছে। স্বপ্নদৃষ্ট স্ত্রীমূৰ্ত্তি সুন্দরী, কিন্তু সূৰ্য্যমুখী তাহার অপেক্ষা শতগুণে সুন্দরী। தி: স্বপ্নদৃষ্টার বয়স বিংশতির অধিক বোধ হয় নাই—সূৰ্য্যমুখীর বয়স প্রায় ষড়বিংশতি । সূৰ্য্যমুখীর সঙ্গে সেই মূৰ্ত্তির কোন সাদৃশ্য নাই দেখিয়া, কুন্দ স্বচ্ছন্দচিত্ত হইল। 影 সূৰ্য্যমুখী কুন্দকে সাদরসম্ভাষণ করিয়া, তাহার পরিচর্য্যাৰ্থ দাসীদিগকে ডাকিয়া আদেশ করিলেন। এবং তন্মধ্যে যে প্রধান, তাহাকে কহিলেন, যে, “এই কুন্দের সঙ্গে আমি তারাচরণের বিবাহ দিব । অতএব ইহাকে তুমি আমার ভাইজের মত যত্ন করিবে ।” দাসী স্বীকৃত হইল। কুন্দকে সে সঙ্গে করিয়া কক্ষান্তরে লইয়া চলিল। কুন্দ এতক্ষণে তাহার প্রতি চাহিয়া দেখিল। দেখিয়া, কুন্দের শরীর কণ্টকিত এবং আপাদমস্তক স্বেদাক্ত হইল। যে স্ত্রীমূৰ্ত্তি কুন্দ স্বপ্নে মাতার অঙ্গুলিনির্দেশক্রমে আকাশপটে দেখিয়াছিল, এই দাসীই সেই পদ্মপলাশলোচনা শু্যামাঙ্গী ! কুন্দ ভীতিবিহ্বল হইয়া, মৃদুনিক্ষিপ্ত শ্বাসে জিজ্ঞাসা করিল, “তুমি কে গা ?” * দাসী কহিল, “আমার নাম হীরা ।” अठेभ श्रृंज्ञिाष्छल পাঠক মহাশয়ের বড় রাগের কারণ এইখানে পাঠক মহাশয় বড় বিরক্ত হইবেন । আখ্যায়িকাগ্রন্থের প্রথা আছে যে, বিবাহট। শেষে হয় ; আমরা আগেই কুন্দনন্দিনীর বিবাহ দিতে বসিলাম। আরও চিরকালের প্রথা আছে যে, নায়িকার সঙ্গে যাহার পরিণয় হয়, সে পরম সুন্দর হইবে, সৰ্ব্বগুণে ভূষিত, বড় বীরপুরুষ হইবে, এবং নায়িকার প্রণয়ে ঢল ঢল করিবে। গরিব তারাচরণের ত এ সকল কিছুই নাই—সৌন্দর্য্যের মধ্যে তামাটে বর্ণ, আর খাদা নাক-— বীৰ্য্য কেবল স্কুলের ছেলেমহলে প্রকাশ—আর প্রণয়ের বিষয়টা কুন্দনন্দিনীর সঙ্গে তাহার কত দূর ছিল, বলিতে পারি না, কিন্তু একটা পোষা বানরীর সঙ্গে একটু একটু ছিল। সে যাহা হউক, কুন্দনন্দিনীকে নগেন্দ্র বাট লইয়া মাসিলে তারাচরণের সঙ্গে তাহার বিবাহ হইল। তারাচরণ সুন্দরী স্ত্রী ঘরে লইয়া গেলেন। সুন্দরী স্ত্রী লইয়া, তিনি f
পাতা:বিষবৃক্ষ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৩০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।